• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ওবায়দুল কাদের ছবি পাঠালো, তা দেখে দুই বোন কেঁদেছি

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:০৩ | আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হওয়াকে নিজের, পরিবার ও সরকারের ওপর আনা অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আর তার পরিপ্রেক্ষিতে অপমানের জবাব হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে দেরিতে হলেও সত্যের বিজয় হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে আজ শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে সরকারের উচ্চপদস্ত মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখানেই এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে অভিনন্দন জানায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় এই স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতুটি। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘পদ্মা সেতু বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। এ নিয়ে আমাদের সরকার, আমার পরিবারের ওপর অনেক অপবাদ দেওয়া হয়েছে, হেয় করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। আমাদের দেশে কিছু লোক তো আছেই যারা এগুলো পেলে আরো উৎসাহিত হয়। কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করতে এসেছি। নিজের ভাগ্য বদলের জন্য আসিনি।’

‘বিশ্বব্যাংকের একজন এখানে এসে আমার নামে অপবাদ দিয়েছে। পরে দুর্নীতির কথা বলে এই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাকে, রেহানাকে, আমার ছেলে-মেয়েকে দুনীতির তদন্তের নামে আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে এমন মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে যেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। সেটা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের জন্য ছিল দুঃসময়। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এখন শুনছি, সেই তদন্তকারীর নামেই দুর্নীতির নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে।’  

৩০ সেপ্টেম্বরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বারবার ম্যাসেজ পাঠাচ্ছিল, ফোনে কথা হচ্ছিল। সে বলছিল, আপা আমি দেরি করব। আমি বললাম, না দেরি করবা না। কারণ, এটা নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, রেহানা, আমার, অপমান… কি যে অবস্থা… কত কিছু যে হয়েছে বলার মতো না। আমাদের মন্ত্রী, সচিব… সচিবের উপর তো মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রেপ্তার করে অত্যাচার হলো। এই যে এতগুলো মানুষকে অপমানিত করা… কাজেই এটা এক সেকেন্ডও দেরি করবা না।’

‘আমি আমেরিকার সময় রাত্রি ৩টার সময় মেসেজ পেলাম যে, সুপার স্ট্রাকচারটা বসে গেছে। আমি তখন জেড়ে ছিলাম। আমি বললাম, আমাকে ছবি পাঠাও। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ছবি, ভিডিও ক্লিপিং তারা পাঠাল। ওই সময় বসে ওটা দেখে সত্যি কথা বলতে কী, আমরা দুই বোন এখানে কেঁদেছি। এটুকু বলতে পারি। এটা আমাদের অনেক অপমানের জবাব আমরা দিতে পারলাম। আমি এটা আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করি’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।