বোন-ভাগ্নি-নাতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দারুণ সময়
রোহিঙ্গা সংকটসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐতিহাসিক অবদান রেখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বোন, ভাগ্নি, নাতিনসহ পরিবারের একান্তজনদের সান্নিধ্যে দারুণ সময় কাটছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, তার দুই মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, রুপন্তি সিদ্দিক, টিউলিপের মেয়ে আজালিয়া সিদ্দিকের সঙ্গে পারিবারিক আবহে সময় যাচ্ছে শেখ হাসিনার।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশুনা করা রুপন্তি সিদ্দিকের নেয়া একটি সেলফিতে দেখা গেছে, বিছানায় বসা দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, তাদের পাশে নিজের কন্যা আজালিয়া সিদ্দিককে কোলে নিয়ে হাসছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। লন্ডনের কিঞ্চিৎ শীতল পরিবেশে উষ্ণতা পেতে গায়ে চাদর জড়িয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে লন্ডনে বোন শেখ রেহানা পরিবারের সঙ্গে একান্ত বিশ্রামের পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় বিভিন্ন ফাইলেও স্বাক্ষর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রীর বিশ্রাম অবস্থান নির্বিঘ্ন রাখতে সেন্ট্রাল লন্ডনের সেভয় হোটেলের সামনে সার্বক্ষণিক অবস্থান নিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইউরোপের নানা দেশ থেকেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লন্ডনে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার লন্ডন পৌঁছার পরই এরকম ১০টি জরুরি ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটিই জানান তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকে মঙ্গলবার এরকম ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ফাইল (ই-ফাইল) ছেড়েছেন, এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট ৬১টি ই-ফাইলে স্বাক্ষর করেন।
এদিকে লন্ডন-ভিত্তিক শতবর্ষী বাংলা দৈনিক সত্যবাণী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল লন্ডনের সেভয় হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগসহ কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রবাসীদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ১৫ দিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ৩ অক্টোবর লন্ডন পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের পথে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২১ সেপ্টেম্বর তিনি সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা করেন। জাতিসংঘের কর্মসূচি শেষে ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্জিনিয়ায় যান। সেখানে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় তার পিত্তথলির পাথর। ৭ অক্টোবর লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।