গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে যৌনাঙ্গে মরিচ দিলো স্বামী
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এক গৃহবধূকে রাতভর নির্যাতনের এক পর্যায়ে দড়ি দিয়ে শক্ত করে হাত পা-বেধে উলঙ্গ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে মরিচ লাগিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে তার স্বামী। গত শনিবার রাত ১২টায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বদই মিয়া তাকে দীর্ঘদিন মারধর করতো। স্বামীর ভয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকদের মধ্যস্থতায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। শনিবার রাত ১২টায় স্বামী হঠাৎ তার হাত পিছমোড়া করে বেধে লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। ভোর ৪টায় বাঁধন খুলে দিয়ে গোসল করায়।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, দড়ি দিয়ে শক্ত করে আমার হাত পা বেধে আমাকে উলঙ্গ করে যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে মরিচ লাগিয়ে দেন আমার স্বামী। এরপর লাথি মারতে শুরু করেন, লাথি আর চড় থাপ্পড়ের যন্ত্রণায় নিস্তেজ হয়ে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেন।
রোববার সারা দিন শরীরের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। সোমবার সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। মঙ্গলবার দুপুরে জুড়ী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন এবং বিকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
অভিযুক্ত বদই মিয়া হাতির মাহুত। তিনি জানান, প্রায় দিনই বাড়ি থেকে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যায় স্ত্রী, আবার আসে। এভাবে তার উৎপাতে আমি অতিষ্ঠ। এখন আমার জেল-ফাঁসি যা হয় হোক।
জুড়ী থানার ওসি মো. জালাল উদ্দিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্বপশ্চিমকে জানান, ঘাতক স্বামীকে ধরতে ইতিমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে।
ঘটনার সাথে সাথে জানালে হয়ত ঘাতক স্বামীকে আটক করা সম্ভব হত জানিয়ে ওসি আরো বলেন, আশারাকি যে কোন সময় গ্রেফতার করতে পারব।