• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আওয়ামী লীগ পরিচয়েও দুর্বৃত্ত আছে: কাদের

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:১৮ | আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সব ধর্মের অনুসারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্বৃত্তদের কোনো ধর্ম, দল থাকতে পারে না। যারা দলীয় পরিচয় দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের ওপর হামলা করে, তারাই দুর্বৃত্ত।

বৌদ্ধদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ পরিচয়েও দুর্বৃত্ত আছে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ব্যাপারে শূন্য সহনশীলতার নীতি অবলম্বন করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তারা যে দলেরই হোক—তারা দুর্বৃত্ত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। এ রকম প্রবারণা পূর্ণিমাও শান্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপিত হবে, এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কাদের বলেন, এ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে। যার সাথে সাথে সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সে ব্যাপারে বলা আছে।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে বৌদ্ধদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদেরকে মাইনোরিটি ভাববেন না। বুকে বল নিয়ে চলবেন। আপনাদের অভিভাবক আছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবার দরকার নেই। এটা ভাবলে মনের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হবে। এমন ভাবনার কোনো প্রয়োজন নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু কাজে লাগিয়ে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি বলেন, আবেগ বা ক্ষোভের বশে কেউ আপনাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে মুখ বুজে থাকবেন না, সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানাবেন। আমাদের জানাবেন।

বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের মুখ্য সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া মুঠোফোনে লেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিশেষ করে এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় সকল ধরনের অনুষ্ঠানে ব্যয় সংকোচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যয় সংকোচন করে যে টাকা সাশ্রয় হবে, তা রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য দেওয়া অর্থ তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে দেবেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিন-তারিখ জানাবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মণি, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু ধর্মমিত্র মহাথেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া প্রমুখ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত