• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অসুস্থ প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এত কথা বলার দরকার নেই

প্রকাশ:  ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩২ | আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বিষয়টি আইনমন্ত্রী সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বারবার কথা বলার প্রয়োজন নেই। যে মানুষ অসুস্থ, এটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের সংবিধানের কারো অসুস্থতায় কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেই বিষয়টি ৯৭ ধারায় পথরেখা করে দিয়েছে। কাজেই সেভাবেই হবে। এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা আন্দোলনের বিষয় নয়, আইনগত বিষয়।

মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভায় কাদের এসব কথা বলেন।

আগামী ৭ অক্টোবর জাতিসংঘের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধণা সফল করতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দল থেকে এ অভিযোগ করা হচ্ছে সেই দলের নেত্রী কী কারণে এতদিন বিদেশে আছেন? অসুস্থতার কথাইতো বলেছিলেন। সময় ছিল দুই মাস। এখন দুই মাস পেরিয়ে তিন মাস, তিন মাসের পরেও আরও কয়েকদিন। তিনি এখনো এলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে আজকে সারা দুনিয়ায় আলোড়ন, সেই আলোড়ন বিএনপির চেয়ারপারসনের মধ্যে পেলাম না। সংকটের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের পার্টি, আমি নিজেই শেখ হাসিনার নির্দেশে রোহিঙ্গাদের মাঝে পড়ে আছি। লোক দেখানো ফটোসেশনের জন্য তাদের দলের কেউ কেউ গেলেন। আমি সেখানে ২০ দিন ছিলাম। আর মির্জা ফখরুল সাহেব গেলেন মাত্র একদিন। আর একদিন গিয়েও শুধু অভিযোগ বলা। সারা দুনিয়া বলছেন সরকার সফল আর বিএনপি বলছে সরকার ব্যর্থ। দেশের জনগণ বলছে এ সংকটে সময়োচিত নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, কিন্তু এ প্রশংসা বিএনপি করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আমার কাছে মনে হয় কখন যে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যেতে হয়। সেই অবস্থায় আসতে এ দলের বেশি বাকি নেই।

কাদের বলেন, লন্ডনে বসে বেগম জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান কী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, তা জাতি জানতে চায়। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্তে সাহায্য করার জন্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এমআই সিক্সসহ ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমরা অনুরোধ করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে হঠানোর জন্য। আমরা মনে করি এর সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্তে সহযোগিতার জন্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের সাহায্য চাই।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তাই তিনি দুনিয়ায় বিপন্ন মানবতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছেন। তাই জনগণের যে আকুতি নেত্রী দেশে ফিরে এলে দেশবাসীর পক্ষে বিশিষ্ট নাগরিকরা তাকে সংবর্ধনা দিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  যাবেন।  চলার পথে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে যানজটে বিঘ্ন না ঘটিয়ে সাধারণ মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানাবে।

এসময় তিনি বলেন, আমরা নেত্রীর জন্য গর্বিত, গোটা জাতি গর্ববোধ করছে। আমরা যদি তাকে স্বাগত না জানাই সেটা আমাদের বিবেক কষ্ট দেবে, আমাদের অনুভূতিতে আঘাত হবে। আজকে ঢাকাবাসী সংবর্ধনা দিতে রাস্তায় দাঁড়াবেন এটাই আমরা আশা করি।

কাদের বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাব সারা দুনিয়া সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। সেই কারণে বিশ্ব জনমতের চাপে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চির একজন মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। বৈশ্বিক চাপের মুখে মিয়ানমারে মন্ত্রীর নরম সুর। ওই দেশের রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের অবস্থানগত পরিবর্তন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পরিচয়। তিনি (শেখ হাসিনা) জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বের নেতাদের বুঝাতে পেরেছেন এটা গণহত্যা, জাতিগত নিধন।  জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে দুটি দেশ ছাড়া সব দেশই এটাতে সমর্থন করেছেন। এ দুটি দেশ সরাসরি সমর্থন না করলেও একটা সহানুভূতির সুর দেখা গেছে। তাদের এ অবস্থান শেষ কথা বলে মনে করছি না।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আফজাল হোসেন, শাম্মী আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সবুর, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত