• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আইসিসি থেকে বিসিবির আয় ৭১৭ কোটি

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২৪ | আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২৭
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অনুদান ছিল একসময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান অবলম্বন। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর বিসিবির আয়ের খাত সম্প্রসারিত হতে থাকে। যুক্ত হয়েছে টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্ব, টিম স্পন্সরশিপস্বত্ব। এসিসির উন্নয়ন তহবিল থেকে পাঁচ লাখ ডলার অনুদান নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জিম্বাবুইয়ান ম্যাক ডুডিয়াকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিযুক্ত করার দৃষ্টান্তও আছে বিসিবির।

অবশ্য এখন আর আইসিসি, এসিসির উন্নয়ন তহবিলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না বিসিবিকে। গত জুনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সর্বশেষ সভা থেকে বিসিবি পেয়েছে বড় সুসংবাদ। আইসিসির টেস্ট ফান্ডের আয়ে আট বছর মেয়াদি প্রকল্পে (২০১৬-২০২৩) বিসিবির তহবিলে উপচে পড়বে টাকা। আইসিসির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই আট বছরে টেস্ট ফান্ড তহবিল থেকে বিসিবির তহবিলে যোগ হওয়ার কথা ১২৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ২৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে টেস্ট ফান্ড থেকে দুই কিস্তিতে বিসিবি পেয়েছে ১২৩ কোটি ৭০ হাজার টাকা।

আইসিসিই এখন বিসিবির আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। বিসিবির অডিট রিপোর্ট বলছে, গত সাতটি অর্থবছরে (২০১০-১১ থেকে ২০১৬-১৭) বিভিন্ন খাত থেকে বিসিবির মোট আয় এক হাজার ৪৫৫ কোটি ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, স্বাগতিক মর্যাদা এবং আইসিসি টেস্ট ফান্ড থেকে বিসিবির তহবিলে যুক্ত হয়েছে ৭১৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

আইসিসির দুটি বড় ইভেন্টে স্বাগতিকের মর্যাদা বিসিবির অর্থভাণ্ডারকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যৌথ স্বাগতিক মর্যাদা এবং ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক স্বাগতিক মর্যাদার সুবাদে বিসিবি আয় করেছে ৩১৭ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ২২৫ টাকা। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আট ম্যাচ আয়োজনে আইসিসি থেকে বিসিবি পেয়েছে ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৩ টাকা। ২০১৫ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে শুধু নতুন ইতিহাসই গড়েনি বাংলাদেশ দল, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্মরণীয় পারফরম্যান্সে বিসিবির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১৩৫ কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৪২০ টাকা। আইসিসির মতো বিশাল অঙ্ক আয়ের সুযোগ নেই এসিসির মেগা ইভেন্ট আয়োজনে। তারপরও সর্বশেষ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি থেকে আয়ের অঙ্কটাও কম নয়, ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার ৬০৭ টাকা।

আইসিসি থেকে বিসিবির তহবিলে আয়ের অঙ্কটা যেহেতু বড়, সে কারণে আইসিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ক্রিকেট কূটনীতিকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন বিসিবির অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা, ‘আইসিসির মেগা ইভেন্টগুলোর স্বাগতিক মর্যাদায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে বিসিবি। আইসিসির সঙ্গে সুসম্পর্কও তৈরি হয়েছে বিসিবির। এর কৃতিত্ব অবশ্যই বিসিবি সভাপতির।

সর্বাধিক পঠিত