• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

টিকা নেওয়া শিক্ষার্থী-শ্রমিকদের ঢুকতে দেবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ:  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কয়েকদিন পরেই করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া। তখন পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে কোনো ধরনের কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে না তাদের। সোমবার (২২ নভেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছেন অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

তিনি জানিয়েছেন, ছুটিতে থাকা শিক্ষার্থী, দক্ষ শ্রমিক ও ভ্রমণকারীদের আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সিডনি ও মেলবোর্ন বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারি নাগাদ দুই ক্যাটাগরিতে দুই লাখ মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকবে বলে আশা করছে অস্ট্রেলীয় সরকার।

অজি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার টিকাগ্রহীতা নাগরিকদের বিনা কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ছাড় পাবেন মানবিক ভিসাপ্রাপ্তরাও। তবে সাধারণ পর্যটকদের জন্য সীমান্ত কবে উন্মুক্ত হবে তা এখনো ঠিক করেনি অস্ট্রেলিয়া।

মরিসন বলেন, অস্ট্রেলীয় জনগণ আমাদের ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিতে দেখতে আগ্রহী। তারা অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে এবং আমরা যেন নিরাপদে সীমান্ত খুলতে পারি ও খোলা রাখতে পারি তা নিশ্চিত করতে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্য যখন বিদেশি শিক্ষার্থী-শ্রমিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, তখনো দেশটির কিছু অংশে করোনাবিধি বলবৎ রয়েছে। সেখানে টিকাদানের হার এখনো বেশ কম। অবশ্য দেশটিতে ১৬ বছর বয়সোর্ধ্ব মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮৫ শতাংশকে এরই মধ্যে পূর্ণডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

প্রায় ২০ মাস বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউনের পর গত ১ নভেম্বর কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণকারীদের জন্য প্রথমবারের মতো সীমান্ত উন্মুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ধাপে প্রবেশের অনুমতি পান অস্ট্রেলীয় নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারা। অস্ট্রেলিয়া-সিঙ্গাপুর কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ট্রাভেল বাবলের আওতায় প্রথম ফ্লাইট চালু হয়েছে গত রোববার (২১ নভেম্বর)।

এবার অবশ্য অনেকটা বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে অস্ট্রেলীয় সরকার। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে সময়মতো ফসল তুলতে না পারায় এ বছর প্রচুর ফল ও সবজি নষ্ট হয়েছে অজিদের।

ইউনিভার্সিটিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী ক্যাটরিনা জ্যাকসন জানিয়েছেন, শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীরা না আসায় গত বছর তার সেক্টরে ১৮০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার (১৩০ কোটি মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। তারা অনেক ধৈর্যশীল। প্রায় দুই বছর ধরে এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে কারও কারও ডিগ্রির মাত্র এক বছর বাকি। এদের ফেরানোর সময় এসেছে।

সর্বাধিক পঠিত