জোড়পুকুর পাড়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
চাঁদপুর শহরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ দখলদার মালিক সেজে বেআইনিভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার শহরের প্রাণকেন্দ্র জোড়পুকুর পাড় ড্রেসকো টেইলার্সের সামনের অংশের স্থাপনা ভেঙ্গে কাজ করতে গেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই ফেরদৌস নূর কাজ বন্ধ করে নোটিস দেয়ালে লাগিয়ে দিয়ে যান।
এ বিষয়ে দোকানের মূল মালিক মৃত ইদ্রিস পাটওয়ারীর ছেলে মৃত এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর স্ত্রী সুফিয়া আকতার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বাদী সুফিয়া আক্তার জানান, জোড়পুকুর পাড়স্থ ড্রেসকো টেইলার্সটির জায়গার মূল মালিক আমার শ^শুর ও স্বামী। দোকানটি আবদুর রশিদ খান ও তার আত্মীয় আনোয়ার হোসেন বাবুল ভাড়া নেয় এবং এক পর্যায়ে আবদুর রশিদ খান কিছু লোকের ইন্ধনে আমার স্বামীকে অসহায় ও নিরীহ পেয়ে সম্পত্তি অবৈধভাবে গ্রাস করার মতলবে চাঁদপুরস্থ অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্যুনালে অর্পিত ৯২৩/১৩ মোকাদ্দমা দায়ের করলে উক্ত মোকাদ্দমায় আমার স্বামীর পক্ষে রায় ডিক্রি হয়। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে তিনি জেলা জজ আদালতে আপিল ৮/২০১৬ মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত আপীল মোকদ্দমায় পূর্বের রায় ডিক্রি বহাল রাখায় আবদুর রশিদ খান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত আপিল মোকদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৩৬১৬/২০১৭ মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমায় হাইকোর্ট চাঁদপুর আদালতের আপীল ৮/২০১৬খ্রিঃ মোকাদ্দমা পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করে রীট শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ তফসিল সম্পত্তি যেভাবে আছে সেভাবেই যেন থাকে, উক্ত সম্পত্তির উপর কোনো স্থাপনা, সংস্কারসহ নব্য কোনো কাজ করা যাবে না। পরবর্তীতে আমার স্বামী ২০১৮ সালে মৃত্যুকালে দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ আমাকে ওয়ারিশ রেখে যায়। বর্তমানে চাঁদপুর পৌরসভার অধীনে শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার জন্যে সংস্কার কাজ চলছে। যা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ। তাই সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা না দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্যে আমার সম্পত্তির উপর থাকা স্থাপনা ভেঙ্গে পড়লে আমার কোনো প্রকার আপত্তি নেই। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রশিদ খান ও তার আত্মীয় আনোয়ার হোসেন বাবুল জোরপূর্বক হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার সম্পত্তির উপর নতুনভাবে দালান নির্মাণের পাঁয়তারা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, তারা যদি কোর্টের রায় পায় তাহলে আমি দোকান ছেড়ে দিবো।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই ফেরদৌস নূর জানান, যেহেতু এটা আদালতের বিষয়, তাই দোকানে একটি নোটিস লাগিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দোকানের কাজ বন্ধ রাখার জন্যে বলা হয়েছে।
ড্রেসকো টেইলার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন বাবুল জানান, পৌরসভার রাস্তা প্রশস্ত করার কাজের অংশ হিসেবে দোকানের সামনের কিছু অংশ সামান্য ভাঙ্গা পড়েছে। নতুন করে আমি কোনো স্থাপনা তৈরি করছি না। আদালতের রায়ে যা হবে আমি মেনে নেবো।