স্কুল খুললে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা, অন্যথায় ‘অটো পাস’
চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষার আয়োজন করা হবে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট দেয়া হতে পারে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে অটো পাস দেয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিইর মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়া হবে না, তবে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে তাদের যতটুকু পড়ানো হয়েছে তার ওপর মূল্যায়ন করতে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণির সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে এ স্তরের সকলকে অটো পাস দিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিকের নিজস্ব শিক্ষা বোর্ড না থাকায় সব কিছু অধিদফতরকে করতে হয়। এ বছর যেহেতু অষ্টম শ্রেণিরও কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না, তাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে সে বিষয়ে আমরা তাদের কাছে পরামর্শ নেব। আগামী সপ্তাহে অধিদফতরে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৫ আগস্ট পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন না করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। তাই এ বছর সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দেয়ায় এবার এ স্তরে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না।
জাকির হোসেন আরও বলেন, এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেয়া না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। তবে স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিল করা হলেও এ বছর কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি অধিদফতরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ ছুটি বাড়ানো হয়েছে।