• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পেন্ডামিক সিচুয়েশনে অনলাইন ক্লাশের বিকল্প নেই : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ:  ০৪ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৯ | আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২০, ১১:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এ পেনডামিক সিচুয়েশনে আমাদের অনলাইন ক্লাস একটা আপৎকালীন ব্যবস্থা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদেরকে অনলাইন এডুকেশনে যেতেই হতো। কিন্তু পেনডামিকের কারণে আমাদের সেটিকে এগিয়ে আনতে হয়েছে। শতভাগ শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না এটি যেমন সঠিক তেমনি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি এটিও সঠিক। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সে জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ২রা জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেট ফোরাম আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথাগুলো বলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি। আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য জনাব এ এস এম মাসুদ কামাল। 

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন  ,আমার বিগত তিন মাসের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনলাইন এডুকেশন শুরু করা বা এটিকে গ্রহণ করার মূল সমস্যার জায়গাটি হলো আমাদের মাইন্ডসেট। সেটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটার মূল কারণ অনভিজ্ঞতা, অনভ্যস্ততা এবং প্রশিক্ষণের অভাব।

গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করলে ইউনিয়ন পর্যায়ের কল সেন্টার এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ব্যবহার করতে পারেন। ইতিমধ্যে আমরা টেলিফোন কোম্পানীগুলোর সাথে কথা বলেছি কিভাবে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ডেটা প্যাক দেয়া যেতে পারে।

আমাদের অনলাইন এডুকেশনের কোন বিকল্প নেই। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে, তারা যেন শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, নিজেদেরকে যাতে সামনের দিনগুলোর জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারে, সে জন্য আমাদের এ ব্যবস্থা। যখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসবে তখন যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে সে ঘাটতি পূরণের জন্য শিক্ষকগণ প্রচেষ্টা চালাবেন। এক সময় সেশনজট ছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সময় সেশনজট নিরসন করা হয়েছে। করোনার কারণে কিছুটা সেশনজট যদি তৈরিও হয় তবুও আমি আশা করছি সেটি আমরা নিরসন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যতোবেশী অভ্যস্ত হয়ে উঠবে তাঁরা ততোবেশী উপকৃত হবেন এবং লাভবান হবেন। যখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে তখনও কিন্তু অনলাইন ক্লাস চলে যাবে না। এই অনলাইন ক্লাসকে মুখোমুখি ক্লাসের পরিপূরক মাধ্যম হিসেবে বজায় রাখতে হবে। এখনই অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের পক্ষে ক্লাসরুমে এসে পাঠ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। হয়তো তারা কোন কাজে আছে বা কোন নতুন দক্ষতা অর্জন করছে তাদের ক্ষেত্রে এ অনলাইন ক্লাসটি অপরিহার্য হয়ে যাবে। কাজেই এ অনলাইন এডুকেশনে আমরা যত দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে উঠবো, এটিকে নতুন মাধ্যম হিসেবে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাবো ততোই সবার জন্য মঙ্গল।

সর্বাধিক পঠিত