টিমওয়ার্কের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুরূপে শেষ হলো এক কর্মযজ্ঞ।
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০, ১৩:২৪ | আপডেট : ৩১ মে ২০২০, ১৪:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
টিমওয়ার্কের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুরূপে শেষ হলো এক কর্মযজ্ঞ।---- রতন কুমার মজুমদার।
করোনা হেরে গেল একটি দক্ষ টিমওয়ার্কের কাছে। ভালো কিছু করতে হলে টিম ওয়ার্কের বিকল্প নেই – এই কথা অতি সত্যি যে ভালো টিম ওয়ার্ক করতে পারলে যে কোনও অসাধ্য সাধন করা যায়। অভিজ্ঞতা দিয়ে বড় প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়া যায় শুধুমাত্র ভালো টিম ওয়ার্ক এর জোরে। একটি ভালো টিম ওয়ার্ক তখনই হয় যখন টিমের প্রতিটি সদস্য নিজের দায়িত্বে পুরোপুরি ১০০% নিবেদিত থেকে ভালোভাবে নিজের কাজ করেন, এবং অন্যদের কাজে সাহায্য করেন। একটি টিমকে ভালো টিম ওয়ার্ক করতে হলে টিম মেম্বারদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো থাকার পাশাপাশি কাজের স্বার্থে একজন আরেকজনকে সাহায্য করার মনোভাব থাকতে হবে। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেয়া যাবে না। আর যেটি থাকতে হবে সেটা হলো যোগ্য নেতৃত্ব।
বলছিলাম এবছর এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা। নীরবে নিভৃতে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করারর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ ফলাফল প্রকাশ করলেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন সরাদেশ লকডাউনে গেল তখন এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে গেল কারণ পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক থেকে ওএমআরগুলো তখন পর্যন্ত বোর্ডে পৌছায়নি। প্রায় ৪০% ওএমআর তখনও প্রধান পরীক্ষকের নিকট থেকে গিয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব ফলপ্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী বিকল্প পদ্ধতিতে ওএমআরগুলো বোর্ডে নিয়ে আসার জন্য বোর্ড চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিলেন। শুধু তাই নয় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন কাজের অগ্রগতি। দফায় দফায় জুম মিটিং করেছেন চেয়ারম্যানদের সাথে।
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই বোর্ডের চেয়াম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মযজ্ঞে নেমে গেলেন। নিজস্ব বাহকের মাধ্যমে এবং পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় ওএমআর গুলো তিন দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করে ফেল্লেন। এখানে জেলা প্রশাসকরাও ভূমিকা রেখেছেন। তখন একদিকে চলছিল লকডাউন অপরদিকে রোজার ছুটি। এ ছুটির মধ্যেই রাত দিন পরিশ্রম করে ওএমআরগুলো স্কেনিং করা থেকে শুরু করে প্রসেসিং সব কাজগুলো একটি টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পন্ন করে ফেল্লেন ঝুকির মধ্যেও। ব্যাপারটি একদিকে জটিল ছিল আবার অবিশ্বাস্য ছিল। সকল রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাতদিন কাজ করে এ কর্মযজ্ঞ শেষ করলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে।
প্রথমে যেকথাটা বল্লাম নেতৃত্ব এবং টিমওয়ার্ক। অভিজ্ঞতা দিয়ে বড় প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়া যায় শুধুমাত্র ভালো টিম ওয়ার্ক এর জোরে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে সকল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিশ্রমের ফসল আজকের এস এস সি এর ফলাফল। পুরো একটি টিম কাজ করছে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে। যদিও অনেকের মনে সন্দেহ ছিল কাজটি সুচারুরূপে করা যাবে কিনা । কিন্তু সকলের দক্ষতা আর আন্তরিকতায় এবং যোগ্য নেতৃত্বে পরাজিত হলো করোনা । করোনা আটকিয়ে রাখতে পারেনি ফলাফল। করোনা হেরে গেল একটি দক্ষ নেতৃত্ব ও টিমের কাছে।