• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিক্ষা মন্ত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু সম্মানের নয়, অর্জনও বটে।

প্রকাশ:  ২৯ মে ২০২০, ১৬:০৬ | আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ১৬:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

“আর লজ্জা পাবো না নিজেদের বিনামূল্যের চাকরী নিয়ে, "গরীবের রাঁধুনি" পরিচয়ে। নিন্দুকের ভয়ে ভালো কাজ আমরা বন্ধ করবো না, বিদ্যানন্দের গল্প প্রচার করে যাবো এই বাংলাদেশে। মন্ত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু সম্মানের নয়, অর্জনও বটে। বিশ্বাস করি নি যে তিনি আসবেন আমাদের ভাঙ্গা কিচেনে, স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপ্রাণিত করবেন প্রতিবন্ধকতা জয়ে। কোন সাংবাদিক, পুলিশ কিংবা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সাথে আনেন নি।

বিদ্যানন্দের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বেশ ভালোভাবেই অবগত আছেন। ভয় কি তোমাদের, কাজ করে যাও। মানুষের কথায় কান দিও না।" - মন্ত্রীর মুখে এমন কথা শোনার পর স্বেচ্ছাসেবকরা বেশ আত্মবিশ্বাসী।

ছবি তুলতে চান নি। শেষে স্বেচ্ছাসেবকদের অনুরোধে কিছু ছবিতে সংযুক্ত হন। বেশীরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকদের মুখে গল্প শুনতে আর ব্যক্তিগত মোবাইলে কিছু ছবি তুলতে “।

উপরের কথাগুলো বলেছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের একজন সেচ্ছাসেবক। সারাদেশে বিদ্যানন্দের ১২টি শাখার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ২,০০০ এর অধিক পথশিশু, সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অসচ্ছল শিশুদের মৌলিক শিক্ষা, এক টাকার বিনিময়ে খাবার, এক টাকায় চিকিৎসা এবং এক টাকায় আইন সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, শিক্ষা উপকরণ, মাসিক বৃত্তি প্রদান করে থাকে এবং সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে।

করোনাকালীন সময়েও সংগঠন দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়েছে । এদেশের যেমন ধনকুবের অভাব নেই, তেমনি দানবীরের অভাব নেই। দানবীররা সামর্থ না থাকলেও দান করেন। তাদের দানেই চলছে বিদ্যানন্দ। এ সংকটময় সময়ে কোত্থেকে এতন খাবার আসে সেটা তারাও বলতে পারবে না। দানবীররা বিদ্যানন্দ অফিসের সামনে সামগ্রী রেখে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে।

আপা গিয়েছিলেন সেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কাজ দেখতে এবং তাদেরকে উৎসাহিত করতে। সকল বাধা অতিক্রম করে তারা যেন তাদের কাজ চালিয়ে যায়। তারা যে অনুপ্রাণিত হয়েছে তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায়।
শুভ কামনা সকলের জন্য।