আলোচনায় গয়েশ্বর
প্রধান বিচারপতিকে যাঁরা ছুটিতে পাঠিয়েছেন, তাঁরা আপনাকেও ছুটিতে পাঠাবেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যাঁরা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ছুটিতে পাঠিয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ছুটিতে পাঠাবেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুশাসন ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এ মন্তব্য করেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিছু মানুষকে বোকা বানিয়ে কিছুদিন বোঝানো যায়, কিন্তু সব মানুষকে বোকা বানিয়ে বেশি দিন রাখা যায় না।
প্রধান বিচারপতিকে যাঁরা বাধ্য করে ছুটিতে পাঠালেন, তাঁরা আপনাকেও (প্রধানমন্ত্রী) পাঠাতে পারবেন। উনি (প্রধান বিচারপতি) অসুস্থ, কিন্তু কই গেলেন? ঢাকেশ্বরী, গেলেন অস্ট্রেলিয়ান এমবাসিতে (দূতাবাস), সরকারের ফরমায়েশ লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হলো না। প্রধান বিচারপতিকে যাঁরা ছুটিতে পাঠিয়েছেন, তাঁরা আপনাকেও ছুটিতে পাঠাবেন। গোটা ব্যবস্থাটাই কিন্তু বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। ষোড়শ সংশোধনীর রায় তো সাতজন একসঙ্গেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে একসঙ্গেই স্বাক্ষর করেছেন।
এস কে সিনহার ছুটি নিতে হয়, বাকি ছয়জনও ছুটি নেন না কেন? এস কে সিনহার জন্য জ্বলে, বাকিদের জন্য জ্বলে না? খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, দেশের জনগণ এই প্রতিহিংসামূলক আচরণ মেনে নেবে না। আমাদের মনে হচ্ছে, সবকিছু শেষের আগে অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। মনে হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব কিছু লোকের দ্বারা আজ এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘স্বাভাবিক কাজ করুন, অস্বাভাবিক কাজ অস্বাভাবিকতা তৈরি করে। নোবেল তো কপালে জুটল না। তিনি (শেখ হাসিনা) নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। সাহিত্যে না পেতে পারেন, অর্থনীতিতে না হোক, চিকিৎসায় না পান, শান্তিতে না পেলেও গুমের জন্য তাঁকে নোবেল দেওয়া যেত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য হলেও তাঁকে নোবেল দেওয়া উচিত ছিল।
নোবেল কমিটি যদি জানতে পারত, তাহলে তাঁকে একটা নোবেল তো দিতই। বহু দোকান আছে, অনেক নোবেল পাওয়া যায়। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।