ঈদে ভিড় ‘তাঁতের শাড়ির রাজধানীতে’
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল প্রায় ৮০ কিলোমিটারের পথ। সেই পথ পাড়ি দিয়ে শাড়ি কিনতে টাঙ্গাইলের পাতরাইল গ্রামে এসেছেন ঢাকার মগবাজারের নাজমুন নেসা বেগম। বলছিলেন, ‘এখানে তাঁতি বাড়ি এসে ঘুরে ঘুরে পছন্দের শাড়ি কেনা যায়। এখানে তাঁতের আসল শাড়ি পাওয়া যায়।’ নাজমুন নেসা বলছিলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে প্রতি ঈদেই আসেন শাড়ি নিতে।
টাঙ্গাইল শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়ন। জেলার বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হলেও এই ইউনিয়ন টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি ও ব্যবসার মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় শাড়িশিল্পীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে তিন মাস আগে থেকেই শাড়ি তৈরি করে তাঁরা মজুত করছেন। এবার কটন, পিওর সিল্ক, হাফ সিল্ক ও সুতি শাড়ি বেশি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েদের থ্রিপিস এবং ছেলেদের পাঞ্জাবির কাপড়ও তৈরি হয়েছে এখানকার তাঁতে। ৭৫০ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি ঈদ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে।ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে টাঙ্গাইল শাড়ির বাজার। ‘তাঁতের শাড়ির রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত পাথরাইলের তাঁতপল্লিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ক্রেতারা। দিন-রাত চলছে পাইকারি-খুচরা শাড়ি বিক্রি।
আজ শুক্রবার পাথরাইলে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি প্রতিটি তাঁতিবাড়িতে। টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বললেন, এবার ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইল অঞ্চলে সাড়ে তিন লক্ষাধিক শাড়ি উৎপাদন হচ্ছে, যা পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ক্রেতারাও আসছেন।দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাড়ি ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমিয়েছেন পাথরাইলে।
এখান বড় শাড়ির দোকান যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় বগুড়া থেকে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস পরিচালিত হস্তশিল্প বিক্রয়কেন্দ্রের কর্মী গীতাঞ্জলী দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদ সামনে রেখে তিনি শাড়ি নিতে এখানে এসেছেন। ঈদের বাজারে টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন দামের পাঁচ শতাধিক শাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। দিনাজপুর থেকে আসা মোহাম্মদি শাড়ি হাউসের ইকবাল হোসেন জানান, ঈদে তাঁদের অঞ্চলে টাঙ্গাইল শাড়ি ভালো বিক্রি হয়। তাই প্রতিবারের মতো এবারও এসেছেন শাড়ি নিতে।
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল প্রায় ৮০ কিলোমিটারের পথ। সেই পথ পাড়ি দিয়ে শাড়ি কিনতে টাঙ্গাইলের পাতরাইল গ্রামে এসেছেন ঢাকার মগবাজারের নাজমুন নেসা বেগম। বলছিলেন, ‘এখানে তাঁতি বাড়ি এসে ঘুরে ঘুরে পছন্দের শাড়ি কেনা যায়। এখানে তাঁতের আসল শাড়ি পাওয়া যায়।’ নাজমুন নেসা বলছিলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে প্রতি ঈদেই আসেন শাড়ি নিতে।টাঙ্গাইল শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়ন। জেলার বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হলেও এই ইউনিয়ন টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি ও ব্যবসার মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় শাড়িশিল্পীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে তিন মাস আগে থেকেই শাড়ি তৈরি করে তাঁরা মজুত করছেন। এবার কটন, পিওর সিল্ক, হাফ সিল্ক ও সুতি শাড়ি বেশি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েদের থ্রিপিস এবং ছেলেদের পাঞ্জাবির কাপড়ও তৈরি হয়েছে এখানকার তাঁতে। ৭৫০ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি ঈদ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে।
ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে টাঙ্গাইল শাড়ির বাজার। ‘তাঁতের শাড়ির রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত পাথরাইলের তাঁতপল্লিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ক্রেতারা। দিন-রাত চলছে পাইকারি-খুচরা শাড়ি বিক্রি।আজ শুক্রবার পাথরাইলে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি প্রতিটি তাঁতিবাড়িতে। টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বললেন, এবার ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইল অঞ্চলে সাড়ে তিন লক্ষাধিক শাড়ি উৎপাদন হচ্ছে, যা পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ক্রেতারাও আসছেন।দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাড়ি ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমিয়েছেন পাথরাইলে।
এখান বড় শাড়ির দোকান যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় বগুড়া থেকে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস পরিচালিত হস্তশিল্প বিক্রয়কেন্দ্রের কর্মী গীতাঞ্জলী দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদ সামনে রেখে তিনি শাড়ি নিতে এখানে এসেছেন। ঈদের বাজারে টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন দামের পাঁচ শতাধিক শাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। দিনাজপুর থেকে আসা মোহাম্মদি শাড়ি হাউসের ইকবাল হোসেন জানান, ঈদে তাঁদের অঞ্চলে টাঙ্গাইল শাড়ি ভালো বিক্রি হয়। তাই প্রতিবারের মতো এবারও এসেছেন শাড়ি নিতেপাতরাইলের শাড়ির তুলনামূলক কম দাম এখানে ক্রেতাদের আসার মূল কারণ।
ময়মনসিংহ থেকে আসা আফিয়া আক্তার বলেন, এখানে শাড়ির দাম কম। ঈদে নিজের এবং স্বজনদের জন্য অনেক শাড়ি কিনতে হবে। তাই বন্ধের দিনে চলে এসেছেন শাড়ি কিনতে। টাঙ্গাইল শহরের আদালতপাড়ার মর্জিনা বেগম জানান, শহরের দোকানগুলোতে অনেক ভিড়। সেখানে ভালোভাবে শাড়ি দেখা যায় না। কিন্তু তাঁতিবাড়িতে ঘুরে ঘুরে অনেক সময় নিয়ে দেখা যায়। তাই তিনি চলে এসেছেন পাথরাইলে।
বিভিন্ন আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখেই পাতরাইলের দোকানিরা পণ্য উৎপাদন করেছেন।সীতানাথ রনজিত শাড়ি হাউসের সুবির বসাক বলছিলেন, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত—সব শ্রেণির ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই এবার ঈদের শাড়ি বাজারে আনা হয়েছে। ৭৫০ থেকে শুরু করে ১৫ ও ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। তবে এক থেকে দুই হাজার টাকা দামের শাড়ির চাহিদা বেশি।যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির খোকন বসাক জানান, রোজার শুরুতে এখন শুধু পাইকারি ক্রেতারাই এসেছেন। কিন্তু এখন পাইকারি-খুচরা সব ধরনের ক্রেতাই আসছে।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান ওরফে মারুফ বলছিলেন, পাথরাইলের এই শাড়ি শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও টাঙ্গাইলকে পরিচিত করেছে। এই শাড়ির সারা দেশেই চাহিদা রয়েছে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন শাড়ি কিনতে।ঈদ উপলক্ষে এলাকায় লোকসমাগম বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপর আছে।দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুল হক ভুইয়া জানান, পাথরাইলে শাড়ি কিনতে আসা পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কারও কোনো অসুবিধা হলে যাতে দ্রুত পুলিশি সাহায্য নিতে পারেন, সে জন্য তাঁতপল্লির বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের ফোন নম্বর দিয়ে রাখা হয়েছে।