১০ বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.৪১ গুণ বেড়েছে
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে ৪ দশমিক ৪১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো ৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান মুখপাত্র এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং রফতানি আয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে।’
চলতি বছর আগস্ট মাসের অর্থনৈতিক সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ দশমিক ৪১ মাসের আমদানির সক্ষমতার সমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্তে দেখানো হয়েছে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঊর্ধ্বগামী হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ নি¤œগামী থাকায় ওই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি কিছুটা ধীরগতির ছিল।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো ৩৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩০ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার, ২০১৪-১৪ অর্থবছরে ২৫ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত ১০ বছরে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩ দশমিক ৫৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে ১৩১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করে, যা বিগত ১০ বছরে ৯৪ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত কয়েক বছরে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি বলেন, সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সাবলীল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার বিভিন্ন ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে সকল ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান করায় দেশে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ হয়েছে।