• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

‘কারসাজি করলে কঠোর হবে বিএসইসি’

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ০১:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানি বাজারের আসার ক্ষেত্রে কারসাজি হলে কঠোর হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর জন্য যদি আইনি সংস্কারেরও প্রয়োজন হয় তবে তাই করা হবে। সংস্থার কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী আজ বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বিনিয়োগ ও ঝুঁকি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাদের সুরক্ষা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির আইনি দায়িত্ব। এজন্য কয়েক বছর ধরে আমরা আইনি সংস্কার করেছি। যার কারণে পুঁজিবাজার এমন ভালো অবস্থানে আসতে পেরেছে। এর সুফল এখন বিনিয়োগকারীরা পেতে শুরু করেছে।

নিজামী বলেন, আমরা এখন দেখি একটা কোম্পানি প্রত্যাশার বাইরে প্রিমিয়াম পাচ্ছে। যদিও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই প্রিমিয়াম নির্ধারণ করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আমরা এই বিডিং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি হলে তা বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনেরও সংস্কার করা হবে।

বিএসইসির এ কমিশনার বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষার মাধ্যমে এখন বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারছে কার কী দায়িত্ব; বিএসইসির কী করার আছে; কী করছে। বিনিয়োগকারীদের এ সম্পর্কে যত বেশি জ্ঞান থাকবে, তত বেশি বাজার বুঝতে পারবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের গবেষণা প্রধান নুরুল হাই। তিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কী ধরণের ঝুঁকি আছে; তা কিভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হুসাইন আহমেদ এনামুল হুদা বলেন, কোনো বিনিয়োগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে বড় কাজ হবে বৈচিত্রকরণ করা তিনি বলেন, কতিপয় শেয়ারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করাই বৈচিত্রকরণ নয়। বৈচিত্রকরণ হলো আপনার মোট অর্থকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা।

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্যে কমিশনার আমজাদ হোসেন বলেন, ধৈর্য্যের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ একজন বিনিয়োগকারীকে ভালো রিটার্ন দিতে পারে। সচেতনতার সাথে জেনে বিনিয়োগ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বানও জানান। সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পিএলএফএস ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মোক্তাদির, লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সহকারি ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ ফয়সাল মাহমুদ।