প্রধানমন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগ নিয়ে তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করুন
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ১২:৫৪
অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার
প্রিন্ট
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অর্থ প্রেরিত হবে ক্ষতিগ্রস্তের মোবাইল ফোনে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে। এ পদ্ধতিটি এমন ভাবে করা হয়েছে যেন কেউ দুর্নীতি করে একজনের টাকা অন্যজন হাতিয়ে নিতে না পারে। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
ডাটাবেজটি করা হয়েছে এভাবে - যাকে এ অর্থ দেয়া হবে তার নাম , তার মোবাইল নাম্বার , তার ভোটার আইডিকার্ডের নাম্বার তার পেশা লিপিবদ্ধ থাকবে ডেটাবেজে । শুধু তাই নয় সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তিনি এ সুবিধা প্রাপ্য কিনা সেটাও ডেটাবেজে থাকবে। যখন টাকা সেন্ড করা হবে তখন সফওয়ার ভেরিফাই করবে তার সকল ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ হয়েছে কিনা।
১। এ পদ্ধতিতে একজনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একবারের বেশী অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই l অর্থাৎ একটি নাম্বারে একবারই টাকা প্রেরিত হবে। সিস্টেমটা এমনভাবে করা হয়েছে একটি নাম্বারে দ্বিতীয় বার টাকা সেন্ড হবে না। সফটওয়ার সেটা গ্রহণ করবে না।
২। যে ব্যক্তিকে টাকাটা পাঠানো হচ্ছে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তিনি সে টাকা প্রাপ্য কিনা সেটাও সফওয়ার ভেরিফাই করবে। যদি ক্রাইটেরিয়া ফিলআপ না হয় তবে সফটওয়ার সেটা গ্রহণ করবে না।
৩। টাকা পাঠানোর সময় সফটওয়ার দেখবে যিনি টাকাটা পাবেন তার ফোন নাম্বারের সাথে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ঠিক আছে কিনা। যদি ঠিক থাকে তবেই টাকাটা প্রেরিত হবে।
অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই , সুযোগ রাখেননি। যারাই দুর্নীতি করার চেষ্টা করবেন, সেটা সফটওয়ারে ধরা পরবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে l
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রয়েছেন ৪৫৭১ জন, ইউপি সদস্য রয়েছেন ৪১ হাজার ১৩৯ জন আর নারী জনপ্রতিনিধি আছেন ১৩ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে কয়েকজন একই ফোন নাম্বার কয়েকজনের নামে ব্যবহার করেছেন যা সফটওয়ারে ধরা পরেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এজেন্সী গুলো এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন l
দেশের কয়েকটি জেলায় কিছু জনপ্রতিনিধি একটি নাম্বার কয়েকজনের নামের এন্ট্রি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতি হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে l কিন্তু তারা জানে না সরকারের সিস্টেমেই এ অসঙ্গতি ধরা পরেছে। এ সমস্ত একাউন্টে কোন অর্থ প্রেরিত হয়নি। সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এই সকল অসংগতি দূর করে নতুন তালিকা তৈরি করে প্রেরণের জন্য ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মাঠপ্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে l মাঠ প্রশাসন তা ভেরিফাই করে দেখছেন এবং কাজ করছে।
বাংলাদশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকার প্রধান ৫০ লক্ষ পরিবারকে নগদ২৫০০টাকা করে ঈদ উপহার হিসেবে ১২৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন l এটি একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেই সম্ভব হয়েছে। এতে উপকার পাবেন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। যারা এ উপকার পেয়েছেন তারা ইতিমধ্যে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন এমন মহতি উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
যারা এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ করছেন তাদেরকে বলবো আগে বিষয়টি জানুন তারপর কথা বলুন। না জেনে কথা বলাটা অজ্ঞতার সামিল। এরপরও যদি কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তবে বুঝতে হবে তাদের অন্যকোন উদ্দেশ্য বা মতলব আছে। অতএব তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করুন।