একটি সুন্দর সকাল পেতে যে অভ্যাসগুলো জরুরী
যান্ত্রিক জীবনে একটা সুন্দর দিন পাওয়া যেন হাফ ছেড়ে বাঁচার মতো। দিনটাকে একটু রঙিন করে নিতে চেষ্টা করেন মাঝে মধ্যেই। তবে ঠিকঠাক হয়ে ওঠাটা অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে কাজের দিনটাকে মধুর করে তুলতে চাইলে দরকার একটা মিষ্টি সকালের। চাপমুক্ত, সতেজ একটা সকাল পেতে চাইলে কিছু প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে আগেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাজের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একটা মিষ্টি সকাল ফিরে পাবেন কীভাবে।
আগেই সেরে রাখুন কিছু কাজ :
ঘুমানোর আগেই পরেরদিনের কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে সকালে বেশ খানিকটা বাড়তি সময় পাওয়া যাবে। বিশেষ করে কোন কাপড় পরবেন সেটি গুছিয়ে রাখাটা জরুরি। এছাড়া জুতো জোড়াও পরিষ্কার করে রাখতে পারেন রাতেই। ত্বক পরিচর্যার কাজটিও রাতেই সেরে নিতে পারেন। এরকম খুঁটিনাটি কিছু কাজ আগে করে রাখলে পরদিন সকাল বেলায় তাড়াহুড়োর হাত থেকে রেহাই মেলে অনেকখানিই।
অ্যালার্ম ঘড়ি :
ঘুমানোর আগে অ্যালার্ম দিতে গিয়ে ভাবেন ঠিক টাইমেই উঠতে পারবেন ঘুম থেকে। কিন্তু দেখা যায় সকালে অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন। এভাবে অ্যালার্মের স্নুজ বাটন চেপে দিনের শুরুটাকে তাড়াহুড়োময় করে ফেলেন। তাই এ ব্যাপারে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুন্দর একটা সকাল পেতে চাইলে অ্যালার্ম ঘড়ির স্নুজ বাটনকে ছুঁয়েও দেখা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে একবার অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে পড়তে। তাছাড়া অ্যালার্মের শব্দ শরীরের জন্য্ব খুব একটা ভাল না। প্রতিটি অ্যালার্মের শব্দ মানব দেহের কর্টিসল নামক একটি হরমোনকে নাড়া দেয়। এরফলে শরীরের মধ্যে বেশ প্রভাব পড়ে। কর্টিসল হরমোন যেন স্বাভাবিক কাজ করতে পারে সে জন্য চেষ্টা করুন স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠতে।
গুছিয়ে রাখুন জিনিসপত্র :
সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে বেশ তাড়াহুড়োয় খুঁজাখুঁজি শুরু হয় বিভিন্ন জিনিসের। কোনটা কোথায় রাখা হয়েছে সেটি খুঁজে বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়। হাতের কাছে রেখেও কিছুই যেন খুঁজে পাওয়া যায়না। এমন অবস্থা এড়াতে সবকিছুই গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। বাইরে থেকে ফিরে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন ঘড়ি, চাবি কিংবা এরকম ছোট ছোট জিনিস।
নিজেকে দিন খানিকটা সময় :
বেশিরভাগ মানুষ ঘুম থেকে উঠেই আগে মোবাইল হাতে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু ঢুঁ মেরে আসেন। কিন্তু এই একটু সময় আপনার বাকি অনেক সময়কেই নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। ঘুম ভেঙে কখনোই মোবাইল হাতে নেবেন না। এমনকি ঘুমাতে যাবার আগেও না। এতে করে আপনার চোখ এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারচেয়ে বরং ঘুম ভেঙেই একটু হাঁটাহাঁটি, যোগ ব্যায়াম কিংবা খালি হাতের কোন ব্যায়াম সেরে নিতে পারেন। এরপর ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে দিনের কর্ম পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে পারেন। এক ফাঁকে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন খবরের কাগজেও। কিংবা স্রেফ দশটা মিনিট একটু নিরিবিলি একা হাকুন। দেখবেন দিনটা কেমন সুন্দর আর ঝলমলে কাটছে।
আত্মবিশ্বাসপূর্ণ একটি দিন কাটাতে এই অভ্যাসগুলো চর্চা করতে পারেন।