দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ওজন
কর্পোরেট সময়ের এই যুগে প্রায় সকলেই কমবেশি মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। আর বেশি দুশ্চিন্তা মানুষের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যখন মস্তিষ্ক বুঝতে পারে কোনো চাপ আসছে, সে ভয় পাওয়া হোক, বসের মেজাজ, বিল বাকি থাকা বা যাই হোক না কেন এটি কর্টিসোল নামে একটি হরমোন উৎপাদন করতে থাকে যা স্ট্রেস হরমোন নামেও পরিচিত। আমরা সকলেই চাপের বিষয়ে কথা বলি এবং জোর দিয়ে থাকি তবে আমরা ঠিক জানি না আসলে চাপ কী? চাপ দুর্বল স্বাস্থ্যের অন্যতম। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল খিদে পাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দেয়।
চাপ এবং বিপাক
অত্যধিক কর্টিসোল সাধারণত বিপাককে প্রভাবিত করে বেশি ওজন বৃদ্ধি ঘটায়। দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেজাজ বদলায় দ্রুত, খিটখিটে করে তোলে এবং ক্লান্ত করে, এমনকি আপনার রক্ত শর্করার মাত্রারও পরিবর্তন করতে পারেন। যদি এই উপসর্গগুলো দেখতে পান তবে সঠিক সময়ে তার মোকাবিলা করা প্রয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী চাপই হলো ৫০ শতাংশ রোগের আশঙ্কার কারণ। স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেম বা অনাক্রম্যতার উপর বিচ্ছিরি প্রভাব ফেলে। একবার আপনি চাপ মোকাবিলা করা শিখে গেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সুবিধা হবে। যখন সব কিছুই ভুল মনে হবে, মন খারাপের মাঝে এটি আপনাকে শান্ত রাখবে। আপনাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে থাকার সাহায্য করবে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধ করবে।
মানসিক চাপ কমানোর কিছু সাধারণ উপায়-
১. ব্যায়াম স্ট্রেস মোকাবিলার এক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ খান
৩. ক্যাফেইন খাওয়া কমান
৪. বন্ধুদের এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
৫. জীবনে সেসবের জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন
৬. কাগজে নিজের অনুভূতি এবং আবেগ লিখুন
৭. ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালান।
৮. হাসতে ভুলবেন না
৯. আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু স্ট্রেস ফ্যাক্টরকে ‘না' বলতে শিখুন
১০. গভীর শ্বাস নিন এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন
চাপ কমাতে সাহায্য করে যে খাবারগুলো- আমন্ড, গাজর, শাক, স্যালমন মাছ, ডিম, হলুদ, গাঢ় চকোলেট, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।