• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শীতের প্রকোপ কমলেও বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধি

প্রকাশ:  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বেড়ে কেটেছে শৈত্যপ্রবাহ। গত তিন দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর অবশেষে ১২ ডিগ্রির ওপরে উঠেছে তাপমাত্রা। এতে করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরলেও শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। দিনের তুলনায় রাতের বেলায় তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৩ জানুয়ারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয়েছে এ অঞ্চলে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালেই দেখা গেছে সূর্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত কমে যাওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবীদের মধ্যে দেখা গেছে কর্মচাঞ্চল্যতা। যে যার মতো কাজে ছুটেছেন স্বস্তি নিয়েই। তবে দিনের চেয়ে রাতে বেশি শীত পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। রাত ৯-১০টার পর শহরের হাটবাজারগুলোতে কমে যায় লোকজনের সমাগম।

হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী, শীতের কারণে বেড়েছে সর্দি, জ্বর, কাঁশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ৬৬ জন শিশুর বেশিরভাগই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। গত ডিসেম্বরে হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৪শ রোগী ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি ভোরে এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মোস্তাকিম নামের ৯ মাসের শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি স্বর্দি, জ্বর, কাশি ও ডায়েরিয়া আক্রান্ত হলে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশু মোস্তাকিম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের রংপুরিয়া বস্তির আব্দুল লতিফের ছেলে। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটি শুধু ডায়রিয়ায় নয়, শীতজনিত সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ সময়ে শীতের কারণে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাই বাবা মাকে সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি জানান। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, আজ তাপমাত্রা বেড়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। সকালেই সূর্য দেখা গেছে।

সর্বাধিক পঠিত