• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

জীবন বাঁচাতে চাই সচেতনতা

প্রকাশ:  ০৬ আগস্ট ২০২০, ১০:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বন্যা এবার দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বন্যার ক্ষয়-ক্ষতিও বহুমাত্রিক। জানমাল-সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। বন্যার পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে শিশুরা এ ধরনের করুণ পরিণতির শিকার হচ্ছে। এমনিতেই পানিতে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। তারওপর বন্যার সময় সেটি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে সাঁতার শেখার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতাও বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

এবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নৌকা ডুবে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চরমাস্তল চরপাড়া এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন হনুফা (৩৭), তার বোন রোকসানা (৩০) ও ভাই রিয়াজুল (২৫)। চরমাস্তল চরপাড়া বিলে ঝড়ের সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নৌকার মাঝি হনুফার বোনের ছেলে মনির ও হনুফার স্বামী আব্দুল হক জীবিত উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের বাড়ি উপজেলার জিয়নপুর গ্রামের আবুডাঙ্গা গ্রামে। তারা চরমাস্তল চরপাড়া গ্রামে তাদের বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঝড়ে তাদের নৌকা ডুবে যায়। নৌকার মাঝি হনুফার বোনের ছেলে মনিরের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল তারা সবাই।

এ ধরনের শোকাবহ পরিস্থিতি কিছুতেই কাম্য নয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা মোট শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশ। আর প্রতিদিন গড়ে ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বলতে গেলে শিশুর অন্যতম ঘাতক এই পানিতে ডুবে মৃত্যু। এই মৃত্যু রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। শিশুরা জলাধারের কাছে যাতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে এই বন্যার সময়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা। গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যে সমস্ত শিশুরা সাঁতার শেখার উপযোগী হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয় প্রশাসন, এনজিওসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। সাঁতার না জানার কারণেই অধিকাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। শুধু শিশুরাই নয় প্রাপ্তবয়স্কদেরও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে সাঁতার শেখা বা শেখানোকে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে এখনো মনে করা হয়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।