• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির গোল টেবিল বৈঠক

প্রকাশ:  ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টায় চর্যাপদ একাডেমির সভাপতির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপার সভাপতিত্বে, মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি শিউলী মজুমদার, পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, প্যাপিরাস পাঠাগারের প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপন, সিসিডিএ চাঁদপুরের সমন্বয়ক নার্গিস আক্তার, দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি সাঈদ হোসেন অপুু চৌধুরী, বংশিবাদক বেলাল শেখ, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন, খাদিজা মুন্নি ও ঝরনা আক্তার। কবিতা আবৃত্তি করেন রাইসা।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রফিকুজ্জামান রণি বলেন, শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের অবদান অপরিসীম। বাংলা সাহিত্যের আদি নির্দশন চর্যাপদ প্রকাশের পেছনে একটি সংগঠনের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে। ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজসভা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর ১৯১৬ সালে এটি প্রকাশ করে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ নামের একটি সংগঠন। এ আবিষ্কার বৈপ্লবিক সাড়া ফেলে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর সহ-সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করে শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের কোনো ভূমিকা নেই। এগুলো ভ্রান্ত ধারণা। যুগযুগ ধরে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংগঠনের মাধমে সাহিত্যের অনেক শক্তিশালী ভিত তৈরি হয়েছে। নাটক তো সাহিত্যেই একটি অংশ। আমাদের নাট্যকলাকে প্রাণ দিয়েছে সংগঠনগুলো। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমেই নাট্যচর্চার সম্প্রসারণ বেশি ঘটেছে। বাংলাসাহিত্যের আদি নির্দশন চর্র্যাপদই তো প্রকাশিত হয়েছে একটি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায়। তাহলে সংগঠনের অবদান নেই কে বলেছে?
সভাপ্রধান আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, সংঘবদ্ধভাবে যে কোনো কাজ করা যতটা সহজ, এককভাবে ততটা সহজ নয়। সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের একটি বার্তা দ্রুত মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের ভূমিকা বিষয়ক প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে অতীত ও বর্তমানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন বক্তরা। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে দেশীয় স্ন্যাকস্ আইটেমের খাবারের পাশাপাশি, সবশেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।