মতলব উত্তরে যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম
মতলব উত্তর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইব্রাহিম খলিল (২১) নামে এক যুবককে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ইব্রাহিম খলিল ওই গ্রামের কলমতর খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ইব্রাহিম খলিল ও তার পরিবারের লোকজন জানান, একই বাড়ির জমির খানের ছেলে মোস্তফা মাস্টার ও তার ভাই হায়াত উল্লাহ খানদের সাথে বাড়ির পাশে থাকা লিজকৃত একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছে। তারা জানান, বাড়ির পাশে থাকা সরকারি ১৪ শতাংশ খাস জমি কলমতর খান ও তার ছেলে বাবুল হোসেনের নামে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন তারা সেখানে ফসলাদি করে ভোগ করে আসছেন। কয়েকদিন পূূর্বে মোস্তফা মাস্টার ও তার পরিবার সেই লিজকৃত জমির কিছু অংশ দখল করে তাদের রান্নাঘর এবং টয়লেট নির্মাণ করেন। এজন্যে আহত ইব্রাহিমের পরিবার বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে এসি-ল্যান্ড বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে মতলব উত্তরের এসি-ল্যাড ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে তাদের নির্মাণকৃত সেই রান্নাঘর ও টয়লেটের অংশ ভেঙ্গে দেয়। তারপর থেকে মোস্তফা মাস্টারের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারই সূত্র ধরে পূর্ব শত্রুতা নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর ইব্রাহিম খলিল বাড়ির পার্শ্ববর্তী মহিষমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ব্রীজের ওপর দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মোস্তফা মাস্টার তাকে উদ্দেশ্য করে অনেক গালমন্দ শুরু করেন। এতে ইব্রাহিম তাকে গালমন্দ কেনো করছেন বলামাত্রই মোস্তফা মাস্টার, তার ভাই হায়াত উল্লাহ খান, মোস্তফার ছেলে তামিম, জিসান, মোস্তফার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বেগম, হায়াতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, সফিউল্লাহ পাটয়ারীর ছেলে সুজন ও সবুজ মিলে লোহার রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় ইব্রাহিম খলিলের শরীরের বিভিন্ন স্থান ও মাথার কয়েক স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তফা মাস্টারের বক্তব্য নিতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।