ফরিদগঞ্জে দিন-দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে বসতঘরে ডাকাতি
ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে কিশোরের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গৃহকর্ত্রী মুক্তা বেগম হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্বামী জাহাঙ্গীর রামগঞ্জ উপজেলাধীন চৌধুরী বাজারে একটি ব্যাংকে চাকুরির সুবাদে সেখানেই ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় মুক্তা বেগম ঘটনার দিন সকালে তার কিশোর ছেলে মেজবাহ আলম (১৪)কে বাড়িতে রেখে বিদ্যালয়ে চলে যান। দুপুরে বাড়িতে এসে দেখেন তার বসতঘরের সকল আসবাবপত্র এলোমেলো পড়ে আছে। এ সময় ঘরের আলমিরার কাছ থেকে তার ছেলেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে গামছা দেয়া অবস্থায় তিনি উদ্ধার করেন।
ঘটনার শিকার ওই শিক্ষকের ছেলে মেজবাহ আলম জানান, সকালে ডাকাতরা ঘরের সামনে এসে বলে কে আছেন ঘরে? আমি ভেতর থেকে বলছি কে? পরে তারা বলে পুলিশ। আমি দরজা খুলে দিলে তারা বলে আমাদের বাবার ড্রয়ারে নাকি ফাইল আছে। এ সময় আমি বলি আমার মাকে বলে আসি। এ কথা বলার সাথে সাথে তারা ঘরে ঢুকে আমার হাতে-পায়ে ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে আমাকে এক রুমে ফেলে রাখে। তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ও কোমরে পিস্তল ছিলো।
গৃতকর্ত্রী মুক্তা বেগম বলেন, আমি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছেলের হাত-পা বাঁধা ও মুখে গামছা দেয়াবস্থায় পড়ে আছে। ডাকাতরা আমার ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছে।
গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।