• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে পালালো ভুয়া চিকিৎসক

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান টের পেয়ে পালিয়েছে ভুয়া ডাক্তার এসএম মোতাহের হোসেন। ওই সময় পৌরসভার মেহের কালীবাড়িস্থ হোসাইন ফার্মেসিতে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, মেহের কালীবাড়ির হোসাইন ফার্মেসিতে নিজেকে চর্ম, যৌন, মেডিসিন, মা ও শিশুরোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এসএম মোতাহের হোসেন বিভিন্ন রোগীকে চিকিৎসা দিতেন। ডাক্তার না হয়েও তিনি কমিশনের লোভে প্রয়োজন ছাড়াই অনেক রোগীকে টেস্ট দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে তার অবহেলার কারণে বেশ ক’জন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। ভুয়া চিকিৎসার বিভিন্ন ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কথিত ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার দুপুরে অভিযানে গেলে ভুয়া ডাক্তার এসএম মোতাহের হোসেন ও তার ভাই হোসাইন ফার্মেসির মালিক এসএম মোকাদ্দাস হোসেন ফার্মেসি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আদালত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে অভিযান চালায়। ওই সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও স্যাম্পল রাখার দায়ে আল মদিনা ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, মেহের কালীবাড়ির হোসাইন ফার্মেসিতে ভুয়া ডাক্তার মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভুয়া ডাক্তার মোতাহের বিভিন্ন রোগীকে টেস্ট করাতেন। তারা সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে উল্টো অর্থ খরচ করে অন্য জায়গায় চিকিৎসা নেয়া লাগতো। এমন অভিযোগের জন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার প্রতিষ্ঠানে গেলে সেখানে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। তাকে মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে জরুরিভাবে দেখা করার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি আমরা আলমদিনা ফার্মেসিতেও অভিযান পরিচালনা করি। উক্ত ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়ায় তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী জানান, শাস্তি দিতে নয়, ভবিষ্যতে সংশোধনের লক্ষ্যে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সারোয়ার হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ফায়দুল্লা মিঞাসহ থানার অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স।