• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ আটক ১

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ফরিদগঞ্জে এক বিধবাকে ধর্ষণের পর নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ভুয়া অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে ধর্ষক ও সহযোগীরা। এ ঘটনায় ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী মামলা করলে রাতেই প্রধান অভিযুক্ত মাইনুদ্দিন মিজিকে আটক করে পুলিশ। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষুরবন্দ গ্রামে এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে অভিযুক্তরা এই সুযোগে তার ঘরে প্রবেশ করে। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ভুক্তভোগীর ভাসুরের ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে ঘরের বাহিরে নিয়ে মারধর করে। এ সময় তারা চাচীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তরা দুই লাখ টাকা দাবি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগীর ভাসুরের ছেলে শিক্ষকতা পেশায় থাকার কারণে মান সম্মানের ভয়ে অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। অভিযুক্তরা তারপরও ক্ষ্যান্ত না হয়ে পুনরায় মোটা অংকের অর্থ দাবি ও ওই নারীকে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে স্বামীর-বাড়ি ছাড়া করে তারা। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। মামলা গ্রহণপূর্বক পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে মাইনুদ্দিন মিজিকে ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে আটক এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।
ভুক্তভোগীর ভাসুরের ছেলে জানান, অসুস্থ মাকে দেখতে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমি বাড়িতে আসি। আমি মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে মাইনুদ্দিন মিজি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তারা মারধর করে আমাকে চাচীর সাথে দাঁড় করায়। তারা আজেবাজে কথা বলে ভিডিও ধারণ করে। এরপরে অভিযুক্তরা আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা দাবি এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি পেশার কারণে ও আত্মসম্মানের ভয়ে বাড়ির অন্য চাচীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ৫০ হাজার টাকা দিই। কিন্তু তারা পুনরায় আমার নিকট থেকে আরো টাকা দাবি করে এবং আমার চাচীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, বিধবা নারীর অভিযোগটি মামলা গ্রহণপূর্বক সোমবার রাতেই একজনকে আটক করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত