• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সদ্য সম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্বাপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংস পরিস্থিতির প্রতিবাদে গতকাল ২০ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এই কর্মসূচির আহ্বান করে। তারই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আযোজনে এদিন বিকেলে চাঁদপুর শপথ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ বিভিন্ন মন্দির ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ^াসী মানুষজনের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়।
কর্মসূচিতে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর সভাপ্রধানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা তমাল কুমার ভৌমিক, চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দন, সদর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, গোপাল জিউড় আখড়া কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোকন পোদ্দার, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পৌর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয় প্রমুখ।
বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ায় তার প্রতি শুভেচ্ছা অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সকল সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশের হয়ে কাজ করেছে। রাষ্ট্রের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংখালঘু সম্প্রদায় কখনো কোনো অবস্থান নেয় নি। আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। সদ্যসম্পন্ন এই নির্বাচনে আপনি বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এতো কিছুর পরে আমাদের অপরাধ কোথায়? অথচ স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচন পূর্বাপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হামলার শিকার হয়েছে। কখনো আমাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে, আবার কখনো লুন্ঠিত হয়েছে আমাদের মা-বোনের ইজ্জত। এভাবে আর কতোদিন চলবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন। আপনিই বলুন কী অপরাধ আমাদের। নির্বাচন পরবর্তী বার বার কেনো আমাদের উপর এই হামলা, কী তার প্রতীকার। আপনি মানবতার মা। রোহিঙ্গারা আপনার দেশে আশ্রয় পেলে, আমরা এই দেশে জন্মগত অধিকার থাকা সত্বেও কেনো শান্তিতে বাঁচতে পারবো না। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে জোর দাবি জানিয়ে বলতে চাই, যারা আমাদের উপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিন। নতুবা বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বিকল্প কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে। তারা নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকার, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সাহা, দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মুন্না, সদস্য মানিক ঘোষ, লিটন সাহা, মাধবী সাহা, হাইমচর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিবেকলাল মজুমদার, চাঁদপুর কালীবাড়ি মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিকাশ মজুমদার টিটু, নির্বাহী সদস্য, মানিক লাল ঘোষ, বাবুল বণিক, লিটন মজুমদার, বিনয় পাল পুরানবাজার চন্দ্রেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরের কার্যকরী সদস্য টুটন বণিক, খোকন সাহা প্রমুখ। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই নেতা-কর্মীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।

সর্বাধিক পঠিত