ঋণের চাপ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
কচুয়ার বাইছারা-নোয়াপাড়া গ্রামে ১০ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে মাহমুদা বেগম (৩৭) নামের তিন সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।
সরেজমিনে গেলে নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী প্রবাস ফেরত আব্দুল মান্নান সরকার জানান, তার স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের হাসিনা বেগম নামের এক নারীর সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম হাসিনা বেগমকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ৬ লাখ ও নিজেদের গরু বিক্রি করে ১ লাখ টাকা তুলে দেন। এমনিভাবে হাসিনা বেগম বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে ১০ জানুয়ারি বুধবার মাহমুদা বেগম কিস্তির টাকা না দেয়ায় তার বাড়িতে এনজিওর লোকজন গিয়ে টাকার জন্য পীড়াপীড়ি করে। এক পর্যায়ে মাহমুদা বেগম টাকা দিতে না পারায় ক্ষোভে অভিমানে নিজ গৃহে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে কচুয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুল মান্নান, ভাই মুকুল মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শিল্পি বেগম, হুমায়ুন কবীরসহ এলাকাবাসী মাহমুদা বেগমের মৃত্যুর জন্যে প্রতিবেশী অহিদ চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা বেগমকে দায়ী করেছেন। তারা মাহমুদা বেগমের আত্মহত্যার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। ঘটনার পর হাসিনা বেগম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে নিহত মাহমুদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই আত্মহত্যার ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র : সময়ের আলো।