গোলাম হোসেনকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির শোকজ
হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক এফিডেভিটে স্বাক্ষর নিয়ে সমর্থক বানানো চেষ্টার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়ন বাতিলকৃত) মোঃ গোলাম হোসেনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দিয়েছে চাঁদপুর-১ কচুয়ার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান জেলার সিনিয়র সহকারী জজ মাইনুল ইসলাম তাকে এই শোকজ দেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, মতলব, চাঁদপুর-এ সশরীরে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রার্থী মোঃ গোলাম হোসেনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
শোকজে মোঃ গোলাম হোসেনকে উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আপনার বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করেছেন মোঃ এয়াকুব আলী নামের একজন ভোটার। তার অভিযোগ আপনি নিজ সমর্থনে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের যে তালিকা জমা দিয়েছেন, সে তালিকায় তার অজ্ঞাতে তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর রাত অনুমানিক ১২টার সময় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জোবায়ের, ৭নং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সাহাদাত হোসেন, কচুয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের রুমি চান্দিয়াপাড়া গ্রামের ফখরুল আলম পলাশ, আমুজান দর্জিবাড়ির লিটন দর্জিসহ ৮-১০ জন লোক অভিযোগকারীর বাড়িতে এসে তিনি স্বাক্ষর করেছেন মর্মে একটি এফিডেভিটের কাগজ তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাতে স্বাক্ষর করার জন্যে জোর করেন। এ সময় এয়াকুব আলী স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে তারা তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখান। তাতেও রাজি না হলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেন প্রার্থী গোলাম হোসেনের লোকেরা।