কচুয়ায় গোলাম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়বেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার ঘোষণা দিলেন আলহাজ¦ গোলাম হোসেন। রোববার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসানের কার্যালয় থেকে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জোবায়ের হোসেন গোলাম হোসেনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
গোলাম হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সেখানে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ দেননি। বরং তিনি বলেছেন, এবার ভোটকে উৎসবমুখর করতে হবে। তাই নির্বাচনে বেশি প্রার্থী হলে ভোটাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করবে ও ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে কোনো আপত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, কচুয়ার তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন বলে এবং কচুয়ার জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ করছি ও নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। তিনি উৎসবমুখর পরিবেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদেরকে অনুরোধ জানান।
এ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। তন্মধ্যে রয়েছেন তিন হাই প্রোফাইল নেতা বর্তমান এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়নপ্রাপ্ত মোঃ গোলাম হোসেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। এবারেই তিনি প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কায় ভোটে লড়ছেন।
আলহাজ¦ গোলাম হোসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য সচিব থেকে অবসর গ্রহণ করার পর ২০১৬ সাল থেকে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়নপ্রাপ্ত হন ড. মহীউদ্দীন আলমগীরের সাথে। তারপর থেকে কচুয়ার অবহেলিত বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কচুয়ার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে কচুয়ার গৃহহীন, অসহায় ৩শ’ পরিবারের মাঝে সেমিপাকা টিনশেড নতুন ঘর করে দিয়েছেন। তার পাশাপাশি কচুয়ায় তাঁর নিজ গ্রাম হাসিমপুরে ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করে কচুয়ায় নারী শিক্ষার বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। কচুয়ায় ৯টি কলেজের মধ্যে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফলাফলে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া নিম্ন আয়ের ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসিমপুরে ফয়জুনেচ্ছা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ২০০৮ সাল থেকে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর টানা ৩বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে ১০৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭ শ’ ৬৯জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩শ’ ৩১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪শ’ ২৭ জন।