ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেল খাটছেন নিরীহ অটোরিক্সা চালক
শাহমাহমুদপুরের ভড়ঙ্গারচরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ভড়ঙ্গারচর গ্রামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। গতকাল ১০ নভেম্বর বিকেলে ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ির সামনে বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী লোকজনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন শেষে তারা পল্লীবিদ্যুৎ-ভড়ঙ্গারচর রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করে যুবকের মুক্তি দাবি করে।
জানা যায়, গত প্রায় ১ বছর আগে উক্ত গ্রামের মল্লিক বাড়ির মোস্তফা মল্লিকের ছেলে সোহরাব মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন একই গ্রামের পার্শ্বস্থ হাওলাদার বাড়ির মৃত লিটন হাওলাদারের মেয়ে নুপুর আক্তার। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ তদন্ত করে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে পরিষদ থেকে জানা গেছে। এরপর নুপুর আক্তার আবার উক্ত যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে অভিযোগকারীর মেডিকেল চেকআপেও ধর্ষণের আলামত পায়নি বলে জানা গেছে। পরে সেখান থেকে উক্ত মামলাটি চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত উক্ত যুবকে গত ১৬ অক্টোবর তারিখে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সোহরাব মল্লিকের পিতা মোস্তফা মল্লিক জানান, নুপুর আক্তার স্বামীবিহীন এক নারী। সে মোবাইলে কল দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসাতে অপচেষ্টা করে। এমনকি ৬ শতাংশ সম্পত্তি লিখে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমার ছেলে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্নস্থানে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু কোথাও অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। অবশেষে কোর্টে মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে জেলে দেয়।
এলাকাবাসী জানান, সোহবার মল্লিক একজন সহজ-সরল খেটে খাওয়া যুবক। সে গ্রামের রাস্তায় অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ওই মেয়ে অন্যের কুপ্ররোচনায় ষড়যন্ত্র করে উক্ত যুবককে ফাঁসাতে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা উক্ত যুবকের বিরুদ্ধে করা মামলার সঠিক তদন্ত ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এছাড়া উক্ত যুবকের পরিবারকে হয়রানির করার বিচার চাই।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুর রহমান নান্টু পাটওয়ারী বলেন, প্রায় এক বছর আগে নুপুর আক্তার পরিষদে অভিযোগ দায়ের করে। আমি খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাইনি। পরে সে আর বিচারের জন্যে পারিষদে আসেনি।