পালগিরীতে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি , থানায় মামলা
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরী অলি মেম্বার বাড়ির একাধিক পরিবারের বহু বছরের পুরোনো বসতবাড়িতে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-১০২৯/২০২৩। মামলার বাদী ওই বাড়ির মৃত ফজর আলীর ছেলে আবুল বাশার। একই বাড়ির সিরাজুল ইসলাম গং ৬ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ, বিবাদী গংয়ের অসামাজিক কাজে বাধা প্রধান ও প্রতিবাদ করলে বাদী গংয়ের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। ২৭ অক্টোবর সরেজমিনে গেলে এ প্রতিবন্ধকতা দেখতে পাওয়া যায়। এতে করে আবুল বাশার গংসহ বাড়ির অন্য পরিবারের লোকজনদের চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে। আবুল বাশার গং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৩৩/১৪৭ ধারায় মামলা দায়ের করার পর বিবাদী গংয়ের মনি বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (২) চাঁদপুর আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন আবুল বাশার গংয়ের বিরুদ্ধে যার নং-৯০২/২০২৩।
এছাড়া আবুল বাশার গংয়ের মামলায় ৩নং বিবাদী কোহিনুর আক্তার গত ২২/১০/২০২৩ তারিখে আবুল বাশার গং তাকে মারধর করেছে বলে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল বাশার গং জানান, আমাদের বাড়িতে মারামারি কোনো ঘটনায় ঘটেনি। তারা আমাদের বসতবাড়ির চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা এবং নতুন করে এখন আবার থানায় ২টি অভিযোগ করে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
আবুল বাশার গংয়ের সদস্য রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন জানান, বাড়িতে তাদের অসামাজিক কর্মকাণ্ড এবং চলার পথে প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদ করায় তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। মানসম্মান বজায় রাখতে আমি প্রায় ৬ মাস যাবৎ বাড়ি ছেড়ে রহিমানগর বাজারে অস্থায়ী বসবাস করছি। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ কোনো মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। আবুল বাশার গং তাদের এসব নির্যাতন ও বসতবাড়ির চলার পথে প্রতিবন্ধকতার ন্যায় বিচারের দাবি করেন।
সিরাজুল ইসলাম গংয়ের কোহিনুর আক্তার জানান, আবুল বাশার গংয়ের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পত্তির বিরোধ চলে আসছে। গত ২২ অক্টোবর রোববার আবুল বাশার গং আমাদের পক্ষের এক বিধবা মহিলার সাথে এ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এদিন আমি চাঁদপুর কোর্ট থেকে এসে তাদের এ তর্ক বিতর্ক দেখে এক পর্যায়ে আমি বিধবা মহিলাকে রক্ষা করতে গেলে আবুল বাশার গংয়ের লোকজন আমাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ঘুষি মেরে আহত করে। আমি আহত অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সার্টিফিকেট নিয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
মারধরের অভিযোগটি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার এসআই মামুনুর রশিদ সরকার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।