চাঁদা না দেয়ায় তালুকদার খেয়াঘাটে হামলা ভাংচুর লুটপাট
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঢালীরঘাটের তালুকদার খেয়াঘাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘাটটি চাঁদপুর জেলা পরিষদের আওতাধীন। ১৮ আগস্ট শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় খেয়াঘাটে হামলা চালিয়ে টিনের ঘর, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে স্থানীয় সোহেল পাটওয়ারীর লোকেরা। এ সময় খেয়াঘাটের ক্যাশবাক্সে থাকা ৪০ হাজার টাকা লুট করে হামলাকারীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সোহেল পাটওয়ারী গং তালুকদার খেয়াঘাটের ইজারাদারদের থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে একাধিকবার তাদের মধ্যে বাক্-বিতণ্ডা হয়। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) জেলা পরিষদের আওতাধীন জায়গায় জাহাজ নোঙরের জন্যে খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে সোহেল পাটওয়ারীর নেতৃত্বে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হামলাকারীরা পাশের একটি স্থাপনা ভাংচুর করে যাওয়ার সময় তালুকদার খেয়াঘাটে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় তারা অন্যান্য দোকানের সার্টারে আঘাত করে।
খেয়াঘাটের ক্যাশ কালেক্টর মহসিন মিয়াজী বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সোহেল পাটওয়ারীর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক তালুকদার খেয়াঘাটে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় খেয়াঘাটের টিনের ঘর ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে এবং ক্যাশে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
তালুকদার খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এ খেয়াঘাটটি চাঁদপুর জেলা পরিষদের আওতাধীন। দীর্ঘ ৬ বছর যাবত এ ঘাটটি আমরা ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছি। প্রতিপক্ষ সোহেল পাটওয়ারী এবার ঘাট ইজারা না পাওয়ায় আমাদের থেকে চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা না দেয়ায় তার নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। হামলা চালিয়ে তারা খেয়াঘাটের টিনের ঘর, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর ও ক্যাশে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এ ব্যাপারে আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
প্রতিপক্ষ সোহেল পাটওয়ারী বলেন, জাহাজ নোঙরের জন্যে আমাদের জায়গায় খুঁটি বসানো হয়। এতে আমাদের বাড়ি ও কবরস্থানের পাড় ভেঙে যায়। ভাঙ্গন রোধে আমি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করি। এতে খেয়াঘাটেরও উপকার হতো। এজন্যে আমরা খুঁটি ভেঙে দিই এবং জাহাজের দড়ি কেটে দিই।