নির্বাচনে সরকারি পাঁচ কর্তাকে প্রতিহত করতে হবে
সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্যে সরকারি পাঁচ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এর মধ্যে ইউএনও ফলাফল ঘোষণা দিবেন, ওসি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদেরেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। এভাবে সরকার নির্বাচন করার কমিটি করেছে। এসব পরিকল্পিত কমিটি আমরা প্রতিহত করবো। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাজীগঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সমন্বয়ক লায়ন ইঞ্জিঃ মমিনুল হক।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইঞ্জিঃ মমিনুল হক আরো বলেন, আগে নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র স্থানীয়দের পরামর্শে করা হতো, এখন অফিসারেরা নিজেরা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তিনি বিএনপিকে পাত্তাই দেন না, এখন আবার আমেরিকার পিছে লাগছেন। তারা কথা বলে আস্তে, বাস্তবে কাজ করে আরেকটা। রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের সালাম দেয়। এটা আমাদের জন্যে শুভ লক্ষণ। তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরাই বলে, যারা এতো বছর খাইছে তারা মাইর খাবে, সমস্যা কী? তবে আমরা কোনো মারামারিতে যাবো না। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সবাই আমাদের ভাই-বন্ধু। আমরা যা করবো নেতা-কর্মীদের মাঝে সবই সমবণ্টনে করবো।
সামনের এক দফা আন্দোলন নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিঃ মমিনুল হক বলেন, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মধ্যে থাকা ২২ কিলোমিটার আমরা দখলে রাখবো। আমাদের নির্বাচনী এলাকার ৪ লাখ ৮৪ হাজার ভোটার, ১৫২ সেন্টার পাবলিক সাপোর্টে থাকবে। বহু চাকুরিজীবী মূল বেতনই ঠিক মতো পায় না, এখন তারা পেনশন চালুর কথা বলে, বিদ্যুৎ নিয়ে টালবাহানা করছে। আমাদের উপর ১৬/১৭ বছর নির্যাতন হইছে, আর ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাসিনা গন, এতে কোনো ভেজাল নাই। এক পরিসংখ্যানে বলে, শেখ হাসিনা নিজের আসনই পাবেন না। আগের মতো আমরা ৩০ হাজার লোক নিয়ে হাজীগঞ্জে মিছিল করবো সেপ্টেম্বরে। বারবার বিনা ভাটে পাস করা যাবে না, বাহাদুর শাহ মনোনয়ন পেলে আমাদের কষ্ট একটু কম হবে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বেলালের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কাজী ইব্রাহিম জুয়েল। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মিঠু চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটোয়ারী প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ নাফের শাহ, পৌর শ্রমিক সভাপতি রাশেদ আলম হীরা, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান কানু পাটোয়ারী, কাজী জসিম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, সাবেক সভাপতি কাউসার আহমেদ রিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, আবু বকর দিদ্দিক সুমন, মাহবুবুব আলম, শাহজালাল রাসেল, শরীফ গাজী, মোঃ হাছান, জহারুল ইসলামসহ উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।