• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশ:  ০৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার কর্ণপাড়া গ্রামের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সাধারণ সম্পাদক (চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন) মোঃ জাফর ইকবালের ছেলে মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণ গত ক’দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে। মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণ পঞ্চনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার সন্ধ্যায় মোঃ জাফর ইকবালের  ̄স্ত্রী তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ঘরে লেখাপড়ার করাচ্ছিলেন । এমন সময় এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী মোঃ জাফর ইকবালের খোঁজে তার বাড়িতে আসে এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ছেলে মেয়ের শরীরে হাত শ্লীলতাহানি করে। এ সময় জাফর ইকবালের স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে । এ সময় সন্ত্রাসী দলে ৭-৮ জন লোক ছিল। সবাই মাথায় হেলমেট ও কালো কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল।
যেহেতু রাজনীতির ছাত্রছায়া আগেও মোঃ জাফর ইকবালের সাথে বাক বিতন্ড হয়েছে ।এলডিপির রাজনীতি নিয়ে মোঃ জাফর ইকবাল দেশ ছাড়া হওয়ার পরও ওরা ক্ষান্ত হয় নাই এবং আমাকে হুমকি দিয়ে যায় যে আমার  ̄স্বামী মোঃ জাফর ইকবালকে যদি
উপস্থিত না করা হয়  তা হলো তোমার সন্তানদের মেরে ফেলবো। তখন আমি বলাম যে রাজনৈতি করাটা কি অপরাধ? তখন তারা আমাকে বলে যে এতো কিছু বুঝিনা তোমার  স্বামীকে আসতে বল। এর পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণকে বিকাল বেলা আমি দোকানে পাঠাই এমন সময় কিছু কালো পোশাকধারী লোক দুটো মাইক্রোবাসে এসে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে এখন কোন খোঁজ মেলেনি। একমাত্র ছেলের সন্ধানে আমি খালেদা বেগম আইনের দরজায় কড়া
নাড়লেও সাড়া পাননি কোথাও। স্থানীয় পত্রিকা সম্পাদকের সাথে আক্ষেপ নিয়ে আমি বলি যে, র‌্যাব, ডিবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবখানে গিয়েছি। শাহরাস্তি থানায় জিডি করতে গেলে সেখানে জিডি নেয়া হয়নি। এখনও খোঁজ খবর নিচ্ছি কিন্তু তারা কিছুই করে না। খালি বলে হচ্ছে হবে। আমার ছেলে কি অপরাধ করেছে। যদি বাবা রাজনীতি করার  কারণে ছেলেকে  গুম হতে হয় তা হলে এদেশের বিচার বিভাগের কি অবস্থা।  এ নিয়ে মামলা হলেও নিখোঁজ সন্ধান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকে উদাসীন ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী মোঃ জাকির হোসেন। একে ন্যায় বিচারের চরম লঙ্গন বলে তিনি উল্লেখকরেন।
তিনি বলেন,  গুম হওয়া ছেলেকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এবং তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে খুঁজে বের করার। এখন হয় তারা সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেনি। না হলে তারা সব তথ্য জানে কিন্তু বলতে চায় না। কেউ অপরাধী হলে
তার বিচার করুক।