স্কুল জীবনে ফিরে যাওয়ার আনন্দ ও স্মৃতিচারণ
রাগৈ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী
"পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়..." এ বছর ঈদুল ফিতরের পরদিন হয়ে গেল রাগৈ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী। এ উপলক্ষে ব্যাচের ছাত্র হিসেবে আমি অংশ নিতে না পেরে খুবই আনন্দিত ও অনুতপ্ত। আমি প্রবাসে থাকার কারনে আয়োজিত পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আমি আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে করে আয়োজিত পুনর্মিলনীটি সফলভাবে সম্পূর্ণ সফল হয়।
এই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। একই বছরে আমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছি বিভিন্ন স্থানে। নানা ব্যস্ততার কারণে এখন আর আগের মত সবার মধ্যে যোগাযোগটা সেভাবে ছিলো না। পুনর্মিলনী আয়োজন করতে গিয়ে আমাদের প্রথম যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে, সেটা হল সবাইকে জানানো আমাদের উদ্যোগের কথা। বলে রাখা ভালো, আমাদের ব্যাচে মোট ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৩৩। এই বৃহৎ সংখ্যার সাথে যোগাযোগ করার কাজটা ছিল খুবই কষ্টকর । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে যদিও অনেক সাহায্য করেছে। তারপরও যারা যোগাযোগের কাজটা করেছে যারা তারা ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার।তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
মানুষের জীবনের সব চেয়ে মধুর সময়টা হল তার স্কুল জীবন। স্কুলের কথা মনে পড়লেই মনটা কী ভাল হয়ে যায়। আবার ফেলে আসা স্কুল জীবনটার স্মৃতিগুলো মনে করলে মনটা খারাপও হয় যায়। বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি, টিফিনের সময় ক্লাস ফাঁকি দেয়া, ক্লাসের ফাঁকে কলম কলম যুদ্ধ, কতই না স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমাদের এই ব্যস্ত জীবনের সব জঞ্জাল দূরে ফেলে দিয়ে আবারও ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় স্কুলের সেই গন্ডিতে।
কিন্তু ইচ্ছে যতই থাকুক, ব্যস্ত এই যান্ত্রিক জীবনে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করাটা আজকাল তেমন হয়েই ওঠে না। আর ঠিক সেই কথা ভেবেই, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সেই পুরনো সময় গুলোকে স্মৃতিচারণ করে সকলে মিলে একান্ত কিছু সময় কাটানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে রাগৈ হাই স্কুল-২০১৭ ব্যাচের পুনির্মিলনী।
স্কুল নিয়ে অনেক আনন্দের আর কৃতজ্ঞতার স্মৃতি ছিলো। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা যারা আমাদের গড়ে তুলেছেন, তাদের অবদান আমরা কখনই ভুলতে পারব না। তাই রাগৈ হাই স্কুল-২০১৭ ব্যাচের রিইউনিয়নে আমরা সম্মানিত করেছি। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, যাদের পরম স্নেহের স্পর্শে আজ আমরা প্রায় সফলতার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি।
পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিলো :
১) সকলের সাথে কথোপকথন বেলা (১২:০০টা)। ২) শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্মৃতিচারন ও রিইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্যচিত্র (বেলা ১২:৩০ টা)। ৩) নামাজের বিরতি (দুপুর ১:৩০-০২:০০ টা)। ৪) দুপুরের খাবার (দুপুর ০২:০০-০৩:০০ টা)। ৫) আমাদের প্রতিভাবান বন্ধুদের বিনোদনমূলক উপস্থাপনা (দুপুর ০৩:০০-০৪:০০টা)। ৬) বিবাহিত ও অবিবাহিতদের নিয়ে আলাদাভাবে কিছু খেলার আয়োজন (বিকাল ০৪:০০-০৪:৩০টা)। ৭) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (বিকাল ০৪:৩০টা)।
লেখক : রাসেলে হোসেন বাবু, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অফ জিওমেটিকা মালোশিয়া (UGM)