• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা

চাঁদপুরের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে থমকে দিতেই শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার

প্রকাশ:  ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১১ | আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে পৌরসভা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আমিন কাজলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল পাটওয়ারী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম, জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান মিটু, সাইফুল ইসলাম রিপন, যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, আকবর হোসেন মনির প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, চাঁদপুরের নাম মুখে আনলেই আজ যার নাম চলে আসে, তিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি এমপি হওয়ার পর থেকে চাঁদপুরের উন্নয়নে একের পর এক কাজ করে চলেছেন। কিন্তু আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে সরকারের এইসব উন্নয়নমূলক কর্মকা- যারা সহ্য করতে পারে না, তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা নিষ্ঠাবান নেত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। ফরিদগঞ্জের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ তা কখনো মেনে নেবে না। নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ অন্যায়ভাবে যদি ডাঃ দীপু মনি এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তাহলে আমরা তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবো।
তিনি বলেন, দীপু মনির পরিবার বলতে তাঁর ভাই, স্বামী ও সন্তানরা। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় যেখানে স্থাপন হবে সেখানে তাঁর পরিবারের কোনো সম্পত্তি না থাকলেও এসব নিয়ে একটি মহল কল্পকাহিনী রচনা করছেন। আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে কখনো দুর্নীতিকে আশ্রয় দিইনি। ফরিদগঞ্জে অন্যদের মতো টিআর, কাবিখা নিয়ে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দিইনি। ভবিষ্যতেও দেবো না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একজন সংসদ সদস্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যেভাবে মিডিয়ায় লিখেছেন, তা ঠিক নয়। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সময় তিনি নানাভাবে আমার ক্ষতি করতে চেয়েছেন। ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তিনি ও তার লোকজন। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা প্রার্থীদের নানাভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করলেও তিনি কাউকেই আমলে নেননি। বরং তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কোন সমন্বয় ছাড়াই কারিশমা দেখিয়ে নৌকার বিজয় অর্জনের চেষ্টা করেছেন। ফলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেই দিক বিবেচনায় রাখা তার উচিত। এভাবে দলকে বাদ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বরং বড় ধরনের ক্ষতিই হবে।

সর্বাধিক পঠিত