শাহরাস্তিতে ফুলের মালা নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ নেতা

শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম মজুমদারের গলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জাভেদ হোসেন ফুলের মালা পরিয়ে দেয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এমন পরিস্থিতিতে উক্ত ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাবেদ হোসেন।
২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি জানান, নির্বাচনের পরদিন বিকেলে তিনি ইউনিয়নের শাহরাস্তি (রহঃ) বাজারে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে চা পান করছিলেন। এ সময় শাহরাস্তি বাজার এলাকায় ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম মজুমদার নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে দেখে চেয়ারম্যান এগিয়ে এসে তার গলা থেকে ফুলের মালা খুলে সভাপতির গলায় পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। জাভেদ হোসেন সৌজন্যতা দেখিয়ে উক্ত ফুলের মালা নিজে না পরে পুনরায় চেয়ারম্যানকে ফিরিয়ে দেন। এই সময় কে বা কারা এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সৌজন্য দেখাতে গিয়ে তার মালা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি নিজে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছি। আমি ছোটবেলা হতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল ইসলাম মজুমদার জানান, আমি নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাভেদ ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে। ইউনিয়নের একজন সম্মানীত ব্যক্তিকে সম্মান দেখাতে গিয়ে নিজের গলার মালা খুলে তাকে পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। তিনি তা নিজে না পরে আমার গলায় পরিয়ে দেন। উক্ত ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যা দুঃখজনক।
গত ২৬ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশাল ব্যবধানে বিএনপির নেতা জহিরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।