পুত্রবধূর সাথে অভিমান করে এক নারীর ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা


৫০ বছর বয়সী এক নারী। নাম তার নয়ন বেগম। তিনি পুত্রবধূর সাথে অভিমান করে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তার পরনের কাপড়সহ বোরকা নদীর পানিতে ভেজা ছিল। আমাদের স্যারেরা কাপড় কিনে দিয়েছেন। তার পরনের ভেজা কাপড় পাল্টিয়ে তারে শুকনো কাপড়গুলো আমি পরিয়ে দেই এবং দুপুরে ভাত খাওয়াই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন হাসপাতালের আয়া রানু বেগম।
গতকাল ৩১ মে সোমবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহরের গাছতলা ব্রিজের উপর থেকে ডাকাতিয়া নদীতে ঝাঁপ দেয় এক নারী। পাশেই বালির শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। পানিতে কিছু একটা পড়ার বিকট আওয়াজ পেলেন। শ্রমিকরা সাথে সাথেই এগিয়ে আসলেন এবং নয়ন বেগমকে উদ্ধার করলেন। কথাগুলো হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছিলেন কামাল ও সোহেল। পরে স্থানীয়রা চাঁদপুর সদর মডেল থানার যোগাযোগ করলে পুলিশ এসে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ শাহজাহান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ওসি স্যারের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরে বিকেলে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তার কাছ থেকে জানতে পারি তার নাম নয়ন বেগম, স্বামী মৃত মোঃ আলী সরদার। বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া বড় সরদার বাড়ি। তার দুই ছেলে জুয়েল ও জহির। আর একটি মেয়ে জান্নাত। ছেলের বউয়ের সাথে তার ঝগড়া হয় এবং তারা তাকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতো। এ জন্যেই নাকি তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন। আমরা শাহরাস্তি থানা পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং রাতেই তার পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করবো।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, রোগীর অবস্থা আগের থেকে কিছুটা ভালো। তারপরও আমরা তাকে অবজারভেশনে রেখেছি। প্রয়োজনে আরো ভালো চিকিৎসার জন্যে কুমিল্লা রেফার করবো। তিনি আরো জানান, তাকে আমরা শুরুতেই অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি করেছিলাম। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।