মে মাসে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি অভিযানে ১টি মামলা ॥ ৪টি নিষ্পত্তি ও ১টি চলমান


বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গত মে মাসে চাঁদপুর শহরে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৬টি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং জরিমানা আদায় করে। জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ সকল অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানগুলোর মধ্যে চাঁদপুর শহরে আলোচিত ৪টি রয়েছে। আর শহর সংলগ্ন স্থানে রয়েছে ২টি। ৩০ মে চাঁদপুর শহরের ষোলঘরস্থ এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছের মালিকানাধীন সুইটি ভবনে ৯টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মে মাসে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর বেপারী বাজার এলাকায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে ২টি অটোরিকশা গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়-এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুটি গ্যারেজ মালিকের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হলে ১টি তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করে, অন্যটির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়।
একইভাবে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা গ্যারেজের মালিককে জরিমানা করা হয়। নিশি বিল্ডিং ভূঁইয়া মার্কেট সংলগ্ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ জুয়েলকে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ও তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। চাঁদপুর শহরের আদর্শ মুসলিম পাড়ায় চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান কর আদায়কারী তৌহিদুল ইসলাম চপলের বাসভবনে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং জরিমানা করা হয়। এ সকল ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি।
সুইটি ভবনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করার পর কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা জরিমানা করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেই। নিয়ম অনুযায়ী মাত্র ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিন। এর মধ্যে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করি। জরিমানা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় আমরা আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার করে তিনি কতদিন এটি ব্যবহার করছেন তা নির্ধারিত করতে পারি। ঐ ব্যবহৃত ইউনিট বাণিজ্যিক কাজের হলে বাণিজ্যিক বা আবাসিক হলে আবাসিক মূল্য অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক তো রয়েছেই।