শাহরাস্তি পৌসভার ভু-পৃষথস্থ্য পানি শোধানাগার ও উচ্চ জলাধারের উদ্বোধন
শাহরাস্তি পৌসভার ভু-পৃষথস্থ্য পানি শোধানাগার ও উচ্চ জলাধারের উদ্বোধন
ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকন
শাহরাস্তি পৌসভার নিজ মেহার এলাকায় ভু-পৃষ্ঠস্থ্য পানি শোধানাগার ও উচ্চ জলাধারের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ মে) বিকেলে পৌরসভার নিজ মেহার এলাকায় সাড়ে ৪ লাখ ঘনমিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ণির্মিত এ পানি শোধনাগার প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্বের জীবন্ত কিংবদন্তী, ১ নং সেক্টর কমান্ডার, ৯০-৯১ তত্বাবধয়াক সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরুস্কার ২০১৯ এ ভূষিত, শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই শাহরাস্তি পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফকে, পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা নির্মাণের জন্য ৮০ শতাংশ ভূমিদাতা হচ্ছেন পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল লতিফ। তিনি ভুমি দান না করলে ণির্মিত এ পানি শোধনাগার উচ্চ জলধারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। এটি নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
পৌর কাউন্সিলর রাসেল চৌধুরী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুসা আল ফয়সাল।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলনে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামনরুন নাহার কাজল, ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ইরান, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জেড,এম আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোঃ আদেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইলিয়াস মিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক রেজাউল করিম মিন্টু, পৌর সচিব তোফায়েল আহমেদ শেখ, পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান টিপু, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান মিয়া, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোজাম্মেল পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মান্নান, কাউন্সিলর মকবুল আহমেদ, মান্নান বেপারী, ছাত্রলীগ সভাপতি এমদাদুল হক মিলিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মি এবং গণমাধ্যমের নেতৃবৃন্দ।
শাহরাস্তি পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৮১৫ পরিবারের মধ্যে ভূগর্ভস্থ গভীর ৩টি নলকূপের মাধ্যমে ৮.৮ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়। এতে পৌরসভার ২৮২ জন গ্রাহক পৌরসভার সরবারাহকৃত পানির আওতায় আসেন। এর মধ্যে হাউজ কানেকশন ছিল মাত্র ১৮২টি।
শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আবদুল লতিফ বলেন, ২০১৮ সালে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা প্রকল্পটি আমার নজরে এলে আমাদের সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করি। তিনি সার্বিক সহেযাগিতার আশ্বাস দিলে পৌরসভার পক্ষ থেকে এটির নির্মাণ কাজের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দুই বছরের কিছু বেশি সময়ে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আশা করি, পৌরবাসী আগামী ৩০ বছরেও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বেন না।
উচ্চ জলধারা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শাহরাস্তি উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন উচ্চ জলাধারাটি প্রতি ঘণ্টায় আড়াই লাখ ঘনমিটার পানি সরবার করতে পারবে। ভূ-পৃষ্ঠস্থ এ উচ্চ জলধারা নির্মাণের জন্য ২৭ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করার জন্য সর্বাধিক আধুনিক ফিল্টার পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ডাকাতিয়া নদী থেকে এর পানি পাম্পে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।