• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মাছ নেই

হাতিয়া-ভোলার ইলিশে ভরপুর মাছঘাট ॥ একদিনে বিক্রি ৫ থেকে ৭শ’ মণ

প্রকাশ:  ২৫ মে ২০২১, ০৮:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ছিলো চাঁদপুরের মেঘনা নদীসহ দেশে ৫টি নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। এসব নদীতে ওই দুই মাস মাছের জন্য অভয়াশ্রম ছিল।
টানা দুই মাস সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ মে থেকে আবার শুরু হয় জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু প্রায় এক মাস হতে চলল, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মাছ নেই। ইলিশের দেখা না পাওয়ায় স্থানীয় জেলেরা পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ শিকারে নেমে হতাশ হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে যেখানে জালভর্তি ইলিশ মাছ পেয়ে জেলেদের মুখে হাসির ঝিলিক লেগে থাকার কথা, সেখানে অধিকাংশ জেলের মুখ এখন মলিন। কারণ নদীতে ইলিশ শিকারের আয়োজনে তাদের খরচের টাকাই উঠছে না।
এদিকে ইলিশের মৌসুমের শুরুতেই নৌকা ও জাল কেনা এবং মেরামতের জন্য মহাজনের কাছ থেকে দাদনসহ স্থানীয় পর্যায়ে ঋণ করেছে জেলেরা। মৌসুম এলে চার-পাঁচ মাস তারা ইলিশ শিকার করে। সেই মাছ বিক্রির আয় দিয়ে দাদন ও কিস্তির মাধ্যমে ঋণ শোধ করে তারা। বাকি টাকায় সংসার চলে। কিন্তু আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবে এ চিন্তায় দিন কাটছে জেলেদের।
চাঁদপুর জেলার মৎস্যজীবীদের নেতা আঃ মালেক দেওয়ান জানান, এবার জাটকা রক্ষা অভিযানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রচুর মাছ ধরা হয়েছে। এখন সমুদ্রে ৬৫ দিনের অভিযান চলছে। এ সময় উজানের নদীতে মাছ পাওয়ার কথা, কিন্তু নদীতে মাছ নেই। নদীতে মাছ থাকলেই তো জেলেরা পাবে। কিন্তু সব মাছ অভিযানের সময় ধরে ফেলছে।
এদিকে স্থানীয় নদীতে ইলিশের আকাল থাকলেও হঠাৎ করে চাঁদপুর মাছ ঘাটে একদিনেই ৫০০ থেকে ৭০০ মণ ইলিশ ঘাটে এসেছে। এসব ইলিশ হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চলের মেঘনা নদীর বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক।
তিনি বলেন, কক্সবাজার চট্টগ্রাম সমুদ্র এলাকায় প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। নদীতেতো এখন অভিযান নেই। সমুদ্রে অভিযান থাকায় কিছু মাছ উজানের নদীতে চলে এসেছে। হাতিয়া ও ভোলা উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা সেই ইলিশ পাওয়ায় আমাদের আড়তগুলোতে কিছু এসেছে।
তিনি জানান, ২৪ মে সোমবার সব আড়তের মাছ মিলিয়ে আনুমানিক ৫শ’ থেকে ৭শ’ মণ ইলিশ ঘাটে বিক্রি হয়েছে।
সরজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দুইটি ফিশিং বোট এবং একাধিক পিকআপ বোঝাই হয়ে সড়ক ও নদীপথে ইলিশের বেশ আমদানি হয়েছে চাঁদপুর মাছ ঘাটে। মাছের আকারভেদে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার থেকে শুরু করে ২৭/২৮ হাজার টাকা দরে। একদিনে কিছু মাছ ঘাটে আসায় ইলিশে প্রাণ ফিরে পায় আড়তগুলো।