চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের সাহসী পদক্ষেপে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু


চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের একের পর এক জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে শহরবাসী সন্তুষ্ট। তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন বলে শহরবাসীর মূল্যায়ন। শহরটিকে সুন্দর এবং বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে তিনি ধীরে ধীরে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। তেমনি একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড়সহ সরকারি কলেজের সামনের রাস্তাটি প্রশস্ত করার। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এই পরিকল্পনাটি গ্রহণ করে সে এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে বসেন। ব্যবসায়ীরা মেয়রের সাথে ঐক্যমত পোষণ করলে এখন সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এদিকে কলেজের পূর্ব পাশের গেইট কলেজের উদ্যোগে নতুন করে করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই গেইটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কলেজের বাউন্ডারি দেয়ালটিও দৃষ্টিনন্দন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলো খুবই সরু। প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তার প্রশস্ততা খুবই কম। সড়কের দুই পাশে দুই সারিতে গাড়ি চলাচল নির্বিঘেœ করা যায় না। বড় গাড়ি শহরে ঢুকলে খুব ধীরগতিতে চালাতে হয়। কোনো কোনো মোড়ে গাড়ি থামিয়ে রাখতে হয় অনেকক্ষণ। তখন শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর বাস্তবতায় দেখা গেছে যে, শহরের প্রায় রাস্তার অনেক অংশই অবৈধ দখলে। রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দখলে পৌরসভার রাস্তার অংশ। এই শহরে চলাচলের জন্যে কোনো ফুটপাত ছিলো না। বিগত পৌর পরিষদের মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ উদ্যোগী হয়ে চাঁদপুর শহরের সাবেক কুমিল্লা রোড বর্তমানে মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়কের দুই পাশে এবং হকার্স মার্কেট ও স্টেডিয়াম এলাকায় ফুটপাত করে দিয়েছেন। এই ফুটপাত করতে যেয়ে দুই পাশে থাকা সব দোকানের প্রায় তিন ফুটের মতো জায়গা ছাড়তে হয়েছে। এছাড়া শহরের পালপাড়ায়ও অনেক বাসাবাড়ির অংশ ভেঙ্গে রাস্তা অনেক প্রশস্ত করা হয়েছে। এ কাজে তৎকালীন মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল শহরের প্রধানতম একটি সড়ক প্রশস্ত করার কাজে হাত দিয়েছেন। এ কাজে প্রথমেই তিনি শহরের সাবেক কুমিল্লা রোড বর্তমানে আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কটি ধরেছেন। কিছুদিন আগে পৌরসভার উদ্যোগে এই করিম পাটোয়ারী সড়কের তালতলা এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা দোকানের অংশ পৌরসভার রাস্তায় যতটুকু পড়েছে ততটুকু ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চিত্রলেখা মোড় এবং কলেজের সামনের রাস্তা প্রশস্ত করার কাজে হাত দেয় পৌরসভা। পৌর মেয়র প্রথমেই চিত্রলেখা এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসেন। তাদেরকে তিনি বুঝাতে সক্ষম হন পৌরসভার রাস্তার ৭/৮ ফুটের মতো জায়গা দোকানদাররা দখল করে আছেন। জনস্বার্থে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। তখন রাস্তাটি অনেক প্রশস্ত করা যাবে জনগণও স্বস্তি পাবে। মেয়র এবং ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে পৌরসভার রাস্তার অংশ ছেড়ে দিয়ে নিজেদের দোকান নিজেরাই সংস্কার করার কাজ শুরু করেন। ব্যবসায়ীরা স্বউদ্যোগী হয়ে পৌরসভাকে সহযোগিতা করায় মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা গেছে যে, চিত্রলেখার মোড় এলাকার ৮/১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকরা নিজ উদ্যোগে রাস্তার অংশ ছেড়ে দিয়ে নিজেদের জায়গায় নিজেদের মতো করে দোকান গড়ে তুলছেন। এই মোড় এলাকার দোকানগুলো যদি ৬/৭ ফুট পিছনে চলে যায় তখন মোড়টি অনেক প্রশস্ত হয়ে যাবে। শহরের প্রধানতম একটি মোড় এবং সড়কের চিত্রই পাল্টে যাবে।
এদিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের পূর্ব পাশের গেইটটি ভেঙ্গে নতুন করে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন একটি গেইট নির্মাণ করেছে। এই গেইটের সাথে সংযোগ কলেজের যে বাউন্ডারি দেয়ালটি ছিল সেটিও ভেঙ্গে রাস্তা থেকে প্রায় সাত ফুট পিছনে গিয়ে নতুন করে বাউন্ডারি দেয়ালটি করা হয়েছে। এখন কলেজের পূর্ব পাশের গেইটের মুখ এবং রাস্তাটি অনেক প্রশস্ত হয়েছে। এই অংশের সাথে মিল রেখে রাস্তার সাথে লাগোয়া কলেজের বাউন্ডারি দেয়াল পুরোটি ভেঙ্গে ৬/৭ ফুট জায়গা যদি রাস্তার জন্যে ছেড়ে দেয়া হয় তখন পুরো রাস্তাটি অনেক প্রশস্ত করা যাবে। একই সঙ্গে কলেজের বাউন্ডারি দেয়ালটি নতুন করে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হলো। তাতে কলেজের সৌন্দর্যসহ পুরো এলাকার সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। তাছাড়া কলেজের বাউন্ডারি দেয়ালটিও অনেক পুরানো হয়ে গেছে। এ উদ্যোগে কলেজের বাউন্ডারি দেয়ালটিও নতুন করে হয়ে গেলো। এ ব্যাপারে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল কলেজ কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, তালতলা থেকে চিত্রলেখা মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তা ৭/৮ ফুট প্রশস্ত করা হবে। তাতে বাসা বাড়িসহ দোকানপাটের কিছু অংশ ভাঙ্গা পড়লেও জনস্বার্থে তা করতে হবে নিজ উদ্যোগে।