• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

নৌ-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান : বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল আটক

প্রকাশ:  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে নৌ-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে এই প্রথম সর্বোচ্চ পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা শহরের টিলাবাড়িতে চালানো এই সাঁড়াশি অভিযানে এক কোটি মিটারেরও বেশি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান।


চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, চাঁদপুর জেলা শহরের বড় স্টেশন এলাকার অনতিদূরে টিলাবাড়ি। এখানে শতাধিক জেলে পরিবার বসবাস করে। কিন্তু তাদের মধ্যে এক শ্রেণির অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাটকা নিধন করছে। আর এই কাজে তারা ব্যবহার করছিল নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। এমন তথ্য পেয়ে গত কিছুদিন সেখানে নৌ-পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি চলে। একপর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেলে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় জেলেদের বসতঘর থেকে এসব জাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানকালে জেলেরা তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দেওয়ায় তাদের কাউকে আটক করা যায়নি।

 


সাঁড়াশি এই অভিযানে বিপুলসংখ্যক নৌ-পুলিশের সদস্য ছাড়া আরো অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন।

 


অভিযানের পর পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে না পারলেও উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জালগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া কারেন্ট জালের পরিমাণ এক কোটি সাত লাখ মিটার।

 


এদিকে, জেলার হাইমচরে মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ১০ জেলে। গত বৃহস্পতিবার নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এই ১০ জেলেকে আটক করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


গত এক মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনার অভয়াশ্রমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন জাটকা, তিন কোটি মিটার জাল এবং পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে চার শ জেলেকে। যাদের একটা অংশকে কারাদ- এবং অন্যদের আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 


উল্লেখ্য, এক মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি চলাকালে নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। একই সঙ্গে জাটকা বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত