পুরাণবাজারে খাদ্যপণ্যসহ ট্রলারডুবি অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা


চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে আচমকা ঝড়ের কবলে খাদ্যপণ্য বোঝাই দু'টি ট্রলার ডুবিসহ চারটি নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত রোববার রাত পৌনে ৯টায় পুরাণবাজার ভূঁইয়ার ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও ট্রলার মাঝিরা।
ট্রলারডুবিতে বাজার গদিঘরের প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকার চাল, আটা, ময়দা, চিনি এবং আলু ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে লেবাররা জানান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমদানি করা চালের।
সরজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ দমকা হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যায় ভূঁইয়ারঘাটে থাকা ট্রলারগুলো। এ সময় পণ্য বোঝাই দু'টি ট্রলার ডুবে যায় এবং আরো দু'টি নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটের লাকি ট্রান্সপোর্টের-৩ নামের ট্রলারটি ঘাটে বাঁধা অবস্থায় ঝড়ের তীব্রতার মধ্যে পড়ে শহর রক্ষা বাঁধের বস্নকের উপরে উঠে ডুবে যায়। এতে খাদ্যভণ্ডার, পরেশ মালাকার, গোপাল চন্দ্র সাহাসহ পাঁচ ব্যবসায়ীর প্রায় ২২ হাজার বস্তা চাল ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে জানান কার্গোর মাঝি আফজাল। এছাড়া মনির ঢালীর শতাধিক বস্তা আলু নিয়ে নূরু মাঝির ট্রলারটি ডুবে যায়।
টিন বাজারের রফিক স্টোর ও ত্রিনাথ ভাভাণ্ডারের আটা, ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের আরেকটি ট্রলারডুবির ঘটনাও ঘটে ওই সময়। এছাড়া পশ্চিম বাজার ঘাটে মোহাম্মদ আলী মাঝির একটি ট্রলার দুমড়ে-মুচড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চাঁদপুর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম পাটোয়ারী জানান, পুরাণবাজারে যেখানে আমাদের ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড-আনলোড হয়, সেখানে বিআইডবিস্নউটিএর ঘাট ও পণ্টুন না থাকায় আমাদের সীমাহীন সমস্যা হচ্ছে। ঝড়ের সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। রোববার রাতে ঝড়ের তীব্রতা মালামাল বোঝাই ট্রলারগুলোকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। ঝড় দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় মাঝিমাল্লারা তাদের নৌযানকে নিরাপদ জায়গায় নিতে পারেনি। এতে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘাটে জেটিসহ পণ্টুন খুবই দরকার।
এদিকে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে একাধিক নৌযান ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিআইডবিস্নউটিএ চাঁদপুর অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। তিনি জানান, নদী বন্দরের নৌ চ্যানেল স্বাভাবিক রাখতে ডুবে যাওয়া নৌযান উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।