• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে আসছে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ ॥ রোদের কারণে কমছে না দাম

প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষের চাহিদা মেটায় তরমুজ

প্রকাশ:  ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 খরা মৌসুমে তরমুজের বাজার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী ও বরিশাল থেকে আগত তরমুজের দখলে চাঁদপুরের তরমুজের বাজার।
ঋতু বদলে শীতের মৌসুম কাটিয়ে ধীরে ধীরে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর গরম অনুভব হলেই তৃষ্ণা মেটাতে মানুষজন রসালো ফল খেতে বেশি পছন্দ করেন। তরমুজ খায় না এমন মানুষ মনে হয় খুবই কম আছে। এখনো ভালো ভাবে গরম অনুভূত হয়নি। এরই মাঝে চৈত্রের শেষে বৈশাখের প্রথম প্রহরে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে রসালো ফল তরমুজ চাঁদপুরে আসতে শুরু করেছে।
চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ তরমুজ ও কাঁচামালের আড়ত চাঁদপুর শহরের ১০নং চৌধুরী ঘাটে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলার ও স্টীমার করে তরমুজ আসতে দেখা যায়। এখানে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ীর মধ্যে তরমুজ বিক্রয় করে ১০-১৫টি আড়ত। ট্রলার ও স্টীমার করে তরমুজ আসার পর আড়তগুলোতে তোলা হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টির কারণে ফলন কম হয়েছে। কম হলেও বাজারে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক।
এদিকে চাষীরা নৌযানে করে প্রতিদিন চাঁদপুরে নিয়ে আসছে তরমুজের বহর। বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিরা তরমুজ এখানে এনে বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রলারে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার তরমুজ আসে। পাইকাররা এখান থেকে তরমুজ কিনে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনযোগে সরবরাহ করেন। পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী ও বরিশাল থেকে চাঁদপুরে বেশি তরমুজ আসে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তরমুজ হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ১০০ তরমুজ ২০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের ১০০ তরমুজ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের তরমুজ ৩ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
১০নং চৌধুরী ঘাট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেসার্স হারুন ট্রেডার্সের মালিক মোঃ হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষকরা কম ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বর্ষা বা বৃষ্টি হলে বাজার খারাপ হতে পারে। চৌধুরীঘাট থেকে জেলা ও জেলার বাইরে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের অধিক তরমুজ বিক্রি হয়। রোদের কারণে দামটা কমছে না। তবে খরা মৌসুমে বাজার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
১০নং চৌধুরী ঘাট কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কালাম লস্কর জানান, চাষী, বেপারী ও ক্রেতারা যার যার ইচ্ছে অনুযায়ী তরমুজ কিনতে পারে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট কিংবা চাঁদাবাজি নেই। আগামী বৈশাখের শেষ পর্যন্ত বাজারে তরমুজ বিক্রয় হতে পারে।

সর্বাধিক পঠিত