• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

বর্ষায় আগে মেরামত না হলে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশ:  ৩১ মার্চ ২০২১, ০৮:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চল দিয়ে গত বর্ষার শেষ দিকে মূল বাঁধের ১২৫ সেন্টিমিটার অংশ অনেক গভীর হয়ে ভেঙ্গে পড়ে। মেঘনা নদীর তীব্র ¯্রােত আমিরাবাদ বাজার ও ভাঙ্গন এলাকা জনতা বাজার এলাকা দিয়ে মূল বেড়িবাঁধে আঘাত করে। জনতা বাজারের সেই ভাঙ্গন এলাকায় এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখনই যদি স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে আসন্ন বর্ষায় বেড়িবাঁধের জনতা বাজার অঞ্চল দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
১৭ হাজার ৫শ’ ৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্বলিত মতলব উত্তরের এই মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। তারপর বাঁধের ভেতরে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর সবই নির্মিত হয়েছে নিচু জমিতে। ইতিমধ্যে এই বাঁধ দুবার ভেঙ্গে গিয়েছিলো। তখন বাঁধবাসী ৫ লক্ষাধিক মানুষের যে দুর্দশা হয়েছিলো যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়। তাই সেই অভাবনীয় দুর্দশার কথা উল্লেখ করে জনতা বাজার অঞ্চলের জসিম উদ্দিন মোল্লা, ওয়ালীউল্লাহ দেওয়ানসহ স্থানীয় ক’জন জানান, জনতা বাজার অঞ্চলে ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু যদি খুব দ্রুত এবং স্থায়ী মেরামত করা না হয় তবে বর্ষায় এই অঞ্চল দিয় ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বাঁধবাসীর চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চলে ভাঙ্গা অংশটুকু এখনই স্থায়ী মেরামত করা না গেলে বর্ষায় বাঁধবাসী মানুষের চরম বিপদ হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সেচ প্রকল্প বাঁধের জনতা বাজার অঞ্চলে টেকসই বা স্থায়ী মেরামতের জন্যে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু করোনাকালীন সময়ের কারণে ফান্ড স্বল্পতা রয়েছে। তবে এই বর্ষা মোকাবিলার জন্যে সাময়িক মেরামতের কাজ সহসাই শুরু হবে।