মিনি কক্সবাজারে হামলা ও ভাংচুর আহত ১০


'মিনি কক্সবাজার' নামে পরিচিত চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বালুচরে বেড়াতে আসা একটি দলের হামলায় ১০জন নৌকার মাঝি আহত হয়েছেন। এ সময় তারা সেখানকার দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নৌকার মাঝিরা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা প্রায় দেড়হাজার যুবক নিয়ে হুলারহাট এলাকার এমভি ফারহান-৯ লঞ্চটি গতকাল দুপুরে মিনি কক্সবাজারে আসে। বিকেলের দিকে তাদের মধ্যে একদল উশৃঙ্খল যুবক হঠাৎ করেই সেখানকার বেশ কয়েকটি টং দোকানে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে প্রায় ১০ জন ট্রলার মাঝি ও টং দোকানদার আহত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা চাঁদপুর শহরের ফরিদুল ইসলাম এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে জানান, বিকেলে হঠাৎ করে লাঠি-বাঁশ নিয়ে নৌকার মাঝি ও দোকানদারদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর ও ভাঙচুর শুরু করে কয়েকজন যুবক। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ না থাকায় বেড়াতে আসা অন্যান্য মানুষ ও দোকানদাররা দৌড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যান। সেখানে বেড়াতে আসা শতশত মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন এবং সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নৌকা মাঝি-মাল্লা সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, ঢাকার সদরঘাট এলাকার কাউন্সিলরের ভাই মিতুর লোকজন এই চরে পিকনিক করতে আসেন। আমাদের চাওয়া ছিলো, লঞ্চ থেকে নামার সময় তারা যেনো নৌকার মাধ্যমে নামেন এবং ১০ টাকা করে ভাড়া দেন। তারা সেটা না করে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। আমরা নৌকার মাঝিরা গরীব হওয়ায় কোনো মামলা-মোকদ্দমা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে নৌকার মাঝিদের ডেকে আনি। কিন্তু তারা আমাদের জানায়, এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার খরচ দিয়ে গেছেন হামলাকারীরা। এই মর্মে তারা আমাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে যান। এ কারণে আর কোনো অভিযোগ করেননি।
এদিকে ভ্রমণপিপাসু সাধারণ মানুষের মতে, যেহেতু মেঘনার চরের নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যে অসংখ্য মানুষ এখানে ঘুরতে আসে, সেহেতু এই জায়গার নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে আরো অঘটন ঘটার আশঙ্কা করছেন তারা। সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ।