রাস্তা প্রশস্তকরণে চাঁদপুর পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান
কৃষি অফিসের সামনে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা এখনো বহাল


চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দেশে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার সাথে লাগোয়া পৌরসভার জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবার বাসস্ট্যান্ড থেকে চিত্রলেখা মোড় পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণে রাস্তার দু'পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চাঁদপুর পৌরসভার জায়গা অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করতে তালতলা এলাকা ও শেখ হাসিনা ছাত্রী নিবাসের পেছনে অভিযান করা হয়। তবে তালতলা খামার বাড়ির (কৃষি অফিসের) সামনে থাকা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ না করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন সেখানে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকায় হয়ত পৌর কর্তৃপক্ষ এখানে হাত দেয়নি।
অভিযানকালে চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি, চাঁন মিয়া মাঝি, বাজার পরিদর্শক জায়েদুর রহমান জহির, সার্ভেয়ার মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর পৌরসভার বাজার পরিদর্শক জায়েদুর রহমান জহির জানান, ৯নং ওয়ার্ডস্থ শেখ হাসিনা ছাত্রী নিবাসের পেছনে ভবন করার নামে চাঁদপুর পৌরসভার চলাচলের ৬ ফুট রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রাখার স্থানটি উচ্ছেদ করে দেয় চাঁদপুর পৌরসভা।
এছাড়া তালতলা এলাকায় এলজিইডি ভবনের সামনে নোভা প্যালেস ভবনটি চাঁদপুর পৌরসভার কয়েক ফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাখে। চাঁদপুর পৌরসভা নিজ জায়গা রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি আরও জানান, রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণে এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে তালতলা এলাকায় অবস্থিত জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (খামার বাড়ি) সামনে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলো এখনো বহাল অবস্থায় রয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় এই কৃষি অফিসের সামনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরে দলীয় সরকারের সময় আবার সেখানে অবৈধভাবে দোকান তোলা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক সেখানে অবৈধভাবে দোকান তুলে এগুলো ভাড়া দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি সেখানে কবরস্থানের উপরও দোকান তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।