• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ভালোবেসে নূরে আমেনার দেশত্যাগ

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

স্বপ্নকেও হার মানিয়েছেন ভিয়েতনামের জিও থিটু। ভিয়েতনামের বাকান জেলার বইথুম গ্রামের জিও থিটু জীবিকার সন্ধানে ২০০৬ সালে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। তিনি ওইখানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে অভ্যর্থনায় চাকুরিতে যোগদান করেন। শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার গ্রামের লদের বাড়ির মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়ে একই কোম্পানিতে যোগদান করেন। সেখানেই জিও থিটুর সাথে পরিচয় ঘটে। পরিচয় থেকে তাদের মন দেয়া-নেয়া। তারা একে অপরের সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সূত্র ধরে ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। খ্রিস্টান ধর্মের জিও থিটু বিয়ের পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার নাম রাখেন নূরে আমেনা। বিয়ের পর তারা বাংলাদেশে চলে আসেন। আলমগীর তার স্ত্রীকে রেখে আবার মালয়েশিয়া চলে যান। তিন বছর পর তিনি আবার বাড়িতে আসেন। বর্তমানে তাদের মেহেদী হাসান সিয়াম ও আবিদ হাসান সিহাব নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ছেলেদের নিয়ে সুন্দরভাবেই দিন অতিবাহিত করছেন নূরে আমেনা। 

তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি নিজেই তার পরিবারের সমস্ত কাজ করে থাকেন। সন্তানদের লেখাপড়াসহ রান্নার কাজও তিনি নিজেই করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশে থাকতে খুব পছন্দ করছেন। জীবনের বাকি সময়টুকু সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে এখানেই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

এলোমেলো কথার ফাঁকে মুচকি হেসে তিনি জানান, খুব ভালোই আছেন। এখনো বাংলা ভালোভাবে বলতে পারেন না তিনি। তার ননদ তাকে কথা বলতে সাহায্য করেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিয়েতনামে তার মা-বোনদের সাথে সবসময়ই কথা হয় তার। অত্যন্ত সহজ-সরল ভঙ্গিতে হাসিমুখে সব কথার উত্তর দিলেন নূরে আমেনা।

যাকে ভালোবেসে তিনি হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছেন বর্তমানে সেই ভালোবাসার মানুষটিও নেই তার পাশে। জীবিকার সন্ধানে আলমগীর প্রবাসজীবন অতিবাহিত করছেন। সময় পেলেই স্ত্রী-সন্তানের খোঁজখবর নেন তিনি। মাসে মাসে টাকাও পাঠাচ্ছেন। ভালোবাসার মজবুত বন্ধনের জোরে নূরে আমেনা পরিবার-পরিজনসহ দেশত্যাগ করছেন। ভালোবাসার জোরে সবাইকে আপন করে নিয়েছেন। আর ভালোবেসেই জয় করতে চান পরিবার ও এদেশের সবাইকে। আজ ভালোবাসা দিবসে তাদের জন্যে রইলো ভালোবাসার শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। এ বন্ধন অটুট থাকুক যুগ যুগ ধরে।

সর্বাধিক পঠিত